নয়া নিয়মের গেড়োয় ১০০ দিনের কাজের খরচ কমানোর পথে মোদী সরকার
১০০ দিনের কাজে নয়া নিয়ম নিয়ে হাজির মোদী সরকার। খাতার দিন শেষ, এবার কাজের জায়গায় উপস্থিত হয়ে স্মার্টফোনের মাধ্যমে উপস্থিতির প্রমান দিতে হবে শ্রমিককে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জিও ট্যাগসহ ছবি আপলোড করতে হবে ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিককে। একবার নয়, দিনে দু-বার অর্থাৎ কাজের শুরুতে এবং কাজের শেষে এমন নিয়ম পালন করতে হবে। তবেই প্রকল্পের আওতায় কাজ মিলবে। বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করার জন্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজ্যে চিঠি দিয়েছে মোদী সরকার।
এ রাজ্যেও এসেছে সেই নির্দেশ। মোদী সরকারের তরফে কৃষি ভবন থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম অ্যাপে শ্রমিকদের কাজের জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে উপস্থিতির প্রমান দিতে হবে। তবেই পারিশ্রমিক পাবেন শ্রমিকেরা।
বাংলার সরকারকে চাপে ফেলতেই কি নয়া নিয়ম চাপালো মোদী সরকার? ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রের সংঘাত চলছে। বাংলার পাওনা টাকা দিচ্ছে না মোদী সরকার। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়ের অভিযোগ, মোদী সরকারের কাছে এখন অবধি বাংলার পাওনার পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে এক টাকা দেয়নি মোদী সরকার।
মোদী সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির মতে বাংলায় নারেগা প্রকল্পের আওতায় নাকি বহু ভুয়ো লোক কাজ পেয়েছে। আগে তারা তদন্ত করবে তারপর টাকা দেওয়া হবে। রাজনৈতিক বিষেশজ্ঞ মহলের ধারণা, ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাচ্ছে মোদী সরকার। বঞ্চিত করা হচ্ছে অবিজেপি রাজ্যগুলোকে, বাংলাও বঞ্চনার শিকার। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মোদী সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব বাংলা, তাই বাংলাকে চাপে রাখতেই কি এমনটা করল মোদী সরকার। সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সাধারণ শ্রমিকেরা কীভাবে স্মার্টফোন পাবেন? কোথা থেকে কিনবেন, আদৌ কি তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন? নাকি নিয়মের গেড়োয় ১০০ দিনের কাজে খরচ কমিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রাণ মারার পথ খুঁজছে মোদী সরকার।