রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে প্রশাসনিক নজরদারি নবান্নের

July 2, 2020 | 2 min read

আম্পান-ক্ষতিপূরণের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজে গলদ এড়াতে প্রশাসনিক নজরদারি আঁটোসাঁটো করেছে নবান্ন। সর্বদল বৈঠকের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পঞ্চায়েত স্তরের গাফিলতিগুলি চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকার। তার পুনরাবৃত্তি রুখতেই পুরোনো এবং নতুন আবেদনকারীদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে নবান্নে। নবান্ন সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জেলাশাসকরা নিজের নিজের জেলার তালিকা মুখ্যসচিব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বার বার সংশোধনের ঝক্কি এড়াতে এ বার প্রত্যেকটি জেলা আবেদনকারীর প্রকৃত ক্ষতির ‘ভেরিফিকেশন’ পর্বে জোর দিচ্ছে।

মঙ্গলবারই নবান্নের এক কর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপ পাঠিয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানতে চান, সর্বদল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো জেলায় জেলায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা বিডিও-অফিসে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না। এ দিন তিনি বলেন,‘বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনও একটি পঞ্চায়েতে বা বিডিও অফিসে তালিকা টাঙানো হল কি না, সে কথা বলতে পারব না। তবে সমস্ত জায়গায় এখনও সেটা হয়নি বলেই জানি।’ এ দিকে প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, তালিকাগুলি যে ‘নির্ভুল’, সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার আগে পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিসে তা টাঙিয়ে দেওয়া হলে ফের নতুন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। পুরোনো তালিকা থেকে ‘বেনো জল’ বের করা এবং নতুন আবেদনকারীদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কাজে কোনও গাফিলতি থেকে গেলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হতে পারে। কেননা এখন গোটা প্রক্রিয়াটিতেই জেলা ও ব্লকস্তরের আধিকারিকদের ভূমিকা বেড়েছে। পঞ্চায়েতস্তরে গড়া কমিটির সঙ্গে শলাপরামর্শ করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখে সাবধানে তৈরি হচ্ছে নতুন সংশোধিত তালিকা।

পুরোনো তালিকা সংশোধনের কাজে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের তৎপরতাও সরকারের পরিপূরকের কাজ করছে বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা। তালিকার ত্রুটি সংশোধনে তৃণমূলের শো-কজ দাওয়াই কাজে আসছে বলে দলেরই নেতারা দাবি করছেন। তৃণমূল বিধায়ক এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ক্ষেত্রেও ইতিহাস তৈরি করছেন। আয়লার সময়েও সিপিএমে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু দলের একজনকেও টাকা ফেরত দেওয়াতে পারেনি ওরা।’ গত এক সপ্তাহে চার নেতাকে বহিষ্কার এবং পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি স্তরের একের পর পদাধিকারীকে শো-কজ করা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। যাঁরা অযৌক্তিক ভাবে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বা পাইয়ে দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে সরকারকে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়ার তাগিদও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এক নেতার বক্তব্য, ‘স্বজনপোষণে’ অভিযুক্ত নেতাদের নিয়ে দল তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অনেকেই এগিয়ে এসে ভুল স্বীকার করে নিচ্ছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#amphan, #Nabanna

আরো দেখুন