মোদীর অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন কি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন? বিরোধীদের প্রশ্ন

১১ জুলাই ব্রোঞ্জ নির্মিত জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

July 12, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

১১ জুলাই ব্রোঞ্জ নির্মিত জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূর্তি উন্মোচনের জন্য পুজোরও আয়োজন করা হয়, তাতেও অংশ নেন মোদী। মোদীর অশোক স্তম্ভের উদ্বোধনকে ঘিরে নানান মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

দেশের সংবিধান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তিন প্রধান স্তম্ভকে পৃথক করেছে। সংসদ, সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সীমারেখা তৈরির কাজটি করে দেশের সংবিধান। দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন ডাকেন। প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র সরকারের প্রধান। সংসদ ভবনের জন্য তৈরি জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধন মোদী হাতে হাওয়ায় সংবিধানের অবমাননা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে মোদী পুজোও করেছেন, এই ঘটনাও সংবিধানে সরাসরি আঘাত এনেছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। ভারতের সংবিধান ধর্ম নিরপেক্ষ। সব ভারতীয়কে নিজের নিজের ধর্মাচরণের অধিকার দিয়েছে যে সংবিধান, তার প্রতীকের উদ্বোধনের এমন কাজ করে সাংবিধানকেই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড় করলেন মোদী? সংবিধানে বলা হয়েছে, সরকারের বা রাষ্ট্রের কোন একটি বিশেষ ধর্মের প্রচার করার অধিকার নেই।​​

মোদী অশোক স্তম্ভ উদ্বোধন করায়, তার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন দেশের বিরোধী দলের নেতারা। সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ​আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, প্রমুখেরা সরব হয়েছেন। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী লিবারেশনের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, নয়া অশোক স্তম্ভে সিংহের মুখের আদল বদলে গিয়েছে।

বিরোধীদের মতে, মোদী নন, লোকসভার অধ্যক্ষের জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধন করা উচিত ছিল। তবেই সরকার ও সংসদীয় গণতন্ত্রের পার্থক্য বজায় থাকত। এক্ষেত্রে মোদী কি সংবিধান লঙ্ঘন করলেন? সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন