দেশ বিভাগে ফিরে যান

লিঙ্গ সমতায় পিছিয়ে মোদীর ভারত, ১৪৬ দেশের মধ্যে পেছনের সারিতে India

July 15, 2022 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: জাগো বাংলা

লিঙ্গ-সমতা নিয়ে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক রিপোর্টে ফের হতাশাব্যাঞ্জক ছবি মোদীর ভারতের। ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারত এখনও ১৩৫ স্থানে আটকে আছে।

বুধবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রকাশিত বার্ষিক জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মহিলাদের অংশগ্রহণ এবং সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে ভাল অবস্থানে উঠে এলেও লিঙ্গ সমতার দিক থেকে ভারত ১৩৫ স্থানে দাঁড়িয়ে।

জেনেভায় প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের থেকে খারাপ অবস্থা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, কঙ্গো, ইরানের মতো কয়েকটি দেশের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, লিঙ্গ-সমতায় নিজেদের ভাল অবস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং সুইডেন।

প্রসঙ্গত, আর্থিক প্রগতি, মানব উন্নয়ন ইত্যাদির মাপকাঠি হিসাবে লিঙ্গ-সমতা হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মানদণ্ড। যেমন গুরুত্বপূর্ণ হল জাতিগত সমতা। লিঙ্গ-সমতার প্রশ্নে ভারতের পিছিয়ে থাকার কারণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গবেষণা, চর্চা অব্যাহত। বিশ্বব্যাংক, এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-সহ আন্তর্জাতিক নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিগত কয়েক বছর ধরে বলে যাচ্ছে, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে যে পরিমানে আর্থিক প্রগতি কাঙ্খিত ছিল তা অর্জন সম্ভব না হওয়ার অন্যতম কারণ লিঙ্গ-বৈষম্য। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরাও বারে বারে এই ব্যপারে সরকার ও প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করেছেন।

পরামর্শ মেনে বিগত তিন-চার দশকে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারপরও আশানরূপ উন্নতি না হওয়ার কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করেন, সরকার আইনকানুন বদলে প্রশাসনিক সংস্কার করলেও সমাজ ও পরিবারের মানসিকতা বদলে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ফলে উচ্চশিক্ষা লাভের পরও বহু পরিবার মেয়েদের চাকরি-ব্যবসায় আপত্তি তোলে। এখনও বহু পরিবারে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার প্রধান লক্ষ্য হয়ে আছে ভাল পাত্র পাওয়া।

কারও কারও মতে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্মস্থলে কাজের সময় বৃদ্ধি এবং কঠোর নিয়মকানুন, ছুটিছাটা নিয়ে সমস্যা ইত্যাদি। এরফলে উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেও ছেড়ে আসতে বাধ্য হন। অন্যদিকে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র অর্থনীতি হয়েও মানব উন্নয়নের নানা মাপকাঠিতে ভারতের থেকে এগিয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে অমর্ত্য সেন-সহ বহু বিশিষ্টজন মনে করেন, ওই দেশটি মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পেরেছে। গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ সে দেশে অন্যতম আর্থিক মেরুদণ্ড। সেখানে কর্মী বাহিনীর সিংহাভাগ মহিলা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #Narendra Modi, #Gender inequality, #ranking

আরো দেখুন