ঋতুচক্রের সময় নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভোগেন?
ঋতুচক্রের আগে কম-বেশি সব মেয়েরই নানা ধরনের সমস্যা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। কিন্তু অনেককেই এনিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। আর তা নিয়ে বেশিরভাগ মেয়েদেরই সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকে না!
ঋতুচক্র শুরুর আগে প্রতিটি মেয়ের হরমোনের স্তরেই কিছু পরিবর্তন আসে। বেড়ে যায় স্ত্রী-হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ – ফলে মুড সুইং হতে পারে, বাড়তে পারে রাগ ও উত্তেজনাও। সেই সঙ্গে কমে যায় সেরোটোনিনের পরিমাণ। ফলে বিরক্তিবোধ বাড়ে। তা ছাড়াও, অনেক মহিলাই পিএমএস বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের শিকার – সেই সব মহিলাদের এমনটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
কি করে বুঝবেন যে আপনার এই সমস্যা আছে কি না
স্তনবৃন্তে ব্যথা, ব্রণ, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, পেট ফাঁপা, কনস্টিপেশন, ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো শারীরিক সমস্যা ছাড়াও কারও কারও ঘুমোতে অসুবিধে হয়। মনঃসংযোগে সমস্যা, রাগ, সামান্য ব্যাপারে কান্নাকাটি, লিবিডো কমে যাওয়া, মেজাজ হারানো হচ্ছে পিএমএসের মূল লক্ষণ।
আপনি যদি কয়েকমাস পিরিয়ডের জন্য নির্ধারিত দিনগুলির ৫-১১ দিন আগে নিজের শারীরিক লক্ষণগুলি খুঁটিয়ে দেখেন, তা হলেই বুঝে যাবেন আপনার পিএমএস হয় কিনা। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা একবার পিরিয়ড শুরু হলে কমে যায়।
তবে যদি মনে হয় যে লক্ষণগুলো জটিল আকার ধারণ করছে, তা হলে অতি অবশ্যই একবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
সমাধান
এই সময়ের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন আর মিনারেল থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ভিটামিন ডি, ই আর বি৬ পিএমএসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। মুড ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকবে।
তাই এমন কাজ করুন যা আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। খুব বেশি ফাস্ট ফুড, কফি-চা-মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। গ্রিন টি, আদা দেওয়া চা, তিল খেতে পারেন।
এই সময় বিনস, ডাল, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া জরুরী। চিনি,নুন দুটোই কম খান এই সময়।