দেশ বিভাগে ফিরে যান

অশোক স্তম্ভ বিতর্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি জহরের

July 17, 2022 | 2 min read

নতুন সংসদ ভবনের ছাদে অশোকস্তম্ভের সিংহের মূর্তি নিয়ে দেশজুড়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ পুরীকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।

গত ১১ জুলাই ব্রোঞ্জে নির্মিত জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে তা নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। অশোক স্তম্ভের সিংহের আদল অনেকটাই বদলে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের মাথায় যে জাতীয় প্রতীকটি উন্মোচন করেছেন, সেটি আসলটির থেকে আকারে-প্রকারে অনেকটাই আলাদা। এবং পরোক্ষে মোদী সরকারের চরিত্রই ফুটিয়ে তুলছে।

জহর সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠিতে জানান, জাতীয় প্রতীক এভাবে পাল্টানো যায় না। কোনও শিল্পী নিজের খেয়ালখুশি মত জাতীয় প্রতীকে পরিবর্তন আনতে পারেন না। সাংসদ লেখেন, সারনাথের অশোকস্তম্ভের সঙ্গে বর্তমান অশোকস্তম্ভের যে কোনও মিল নেই।

সরকার পক্ষের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বিতর্কিত মূর্তিটি সারনাথের মূর্তির চেয়ে চার গুণ বড় ও জমি থেকে ৩২ মিটার উঁচুতে বসানো হয়েছে বলেই সেটিকে দেখতে অন্য রকম লাগছে। জহরের পাল্টা যুক্তি, কর্নাটক বিধানসভায় তো গত ৬৫ বছর ধরে বিশাল আকারের অশোকস্তম্ভ রয়েছে। তা নিয়ে তো কোনও বিতর্ক হয়নি।

বিতর্কের অবসানের পাশাপাশি জহর সরকার মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন অশোকস্তম্ভ নির্মাণশিল্পীকে কীভাবে বাছা হল, তাঁকে সরকারের পক্ষ থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অশোকস্তম্ভ তৈরির খরচ কত ধরা হয়েছিল। চিঠিতে তিনি লেখেন, ওই প্রকল্পের প্রথম খরচ ছিল ৯৭৫ কোটি টাকা। যা পরে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১২০০ কোটিতে। অশোকস্তম্ভের জন্য ওই বাড়তি খরচ কেন হল, তা জানতে চান তিনি। পাশাপাশি ওই স্থাপত্য বসানোর জন্য দিল্লি আর্বান আর্ট কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অশোক স্তম্ভ বিতর্কে দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আলাপচারিতায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সাংসদ জহর সরকার। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? শুনে নিন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#National Emblem Row, #Jawhar Sircar

আরো দেখুন