বিজেপির ‘রিসর্ট রাজনীতি’কে কড়া ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের
ভারতে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৮ জুলাই সোমবার চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিন ‘রিসর্ট রাজনীতি’ নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই রবিবার থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিউ টাউনের এক হোটেলে এনে রাখা হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু ক্রমেই গেরুয়া শিবিরের বিধায়কেরা দল বদলানোয় এই মুহূর্তে বাংলায় বিজেপি বিধায়কের ৭০। সূত্রের খবর, সাংসদ অর্জুন সিংহের পুত্র পবন সিংহ হোটেলে আসেননি। তা নিয়েও নতুন করে জল্পনার জন্ম হয়েছে। এখন বিজেপি বিধায়কদের ৭০টি ভোট দ্রৌপদী আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়েও চিন্তিত গেরুয়া শিবির।
রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে বিজেপি রিসর্ট রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে বলে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটে লেখেন, “যেমন কর্ম, তেমনই ফল। যে যেমন কাজ করেছেন, তার সেই ফলই প্রাপ্য। বিজেপিকে দেশের জনতার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হবেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিধায়ককে বন্দি করার বদলে, বিজেপির রিসর্ট পলিটিক্স তাদের নিজেদের উপরেই কার্যকর হয়েছে। হাস্যকর বিষয়! সত্যিই, বাংলাই পথ দেখায়।”
মহিলা তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, স্কুলের পড়ুয়াদের মতো করে বিজেপি বিধায়কদের দলবেঁধে, ভোট দেওয়াতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ক্রস ভোটিং রুখতে একসঙ্গে হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে বলেও সশ্লেষ কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী।
প্রসঙ্গত, বিরোধীরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন রাজ্যের অবিজেপি সরকার ফেলতে বিজেপি রিসর্ট রাজনীতিকে হাতিয়ার করে। সাম্প্রতিক সময়ে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব সরকারের পতনের সময়তেও একই জিনিস ঘটে। বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্দে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে দুই বিজেপি রাজ্যে, প্রথমে অসম এবং পরে গোয়ায় পৌঁছেছিলেন। তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ শানান উদ্ধব শিবির।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহে, অভিষেক বিজেপির রিসর্ট রাজনীতিকে টেনে এনে মোদী ও তার দলকে আক্রমণে বিদ্ধ করলেন।