৫০০ সক্রিয় কর্মী নেই বহু জেলায়? বঙ্গবিজেপির জরাজীর্ণতায় শঙ্কিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?
বঙ্গবিজেপির হাল হকিকত নাকি বলছে গর্জন শুধুই সামাজিক মাধ্যমে এবং টিভির পর্দায়! ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতি জেলায় বিজেপি কর্মীদের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করতে গিয়ে বঙ্গবিজেপির জরাজীর্ণ সাংগঠনিক চেহারা বেরিয়ে পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সামনে, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে শনিবার বঙ্গ বিজেপির বৈঠক বসে। বৈঠকে জেলা সভাপতিদের কাছে তৃণমূল স্তরে সংগঠনের হালহকিকত জানতে চান রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। জেলা সভাপতিদের বলা হয়, কোন জেলায় এই মুহূর্তে কত সক্রিয় কর্মী রয়েছেন, সেই তথ্য দিতে। সেখানে নদীয়া (দক্ষিণ) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার কর্মী রয়েছে তাঁর জেলায়, যা শোনা মাত্র তীব্র হাসির রোল ওঠে গোটা অডিটোরিয়ামে, কারণ পরে জানা গেছে সংখ্যাটি জল মেশানো।
এরপর একাধিক জেলা সভাপতি একেবারে ৫০০-তে নেমে যান তাঁদের জেলার হিসেব পেশ করতে গিয়ে। নিজেদের জেলায় বিজেপির কর্মিসংখ্যা বলতে গিয়ে ৩০০ থেকে ৫০০-র মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন বাকি জেলা সভাপতিরা, এরকমই খবর বেরিয়েছে বঙ্গবিজেপির অন্দরমহল থেকে।
জানা গেছে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে কয়েক জায়গায় বাইরে থেকে লোক এনে সভা ভরাতে হচ্ছে মণ্ডল কমিটির বৈঠকে। পূর্ণাঙ্গ মণ্ডল কমিটি তৈরি করা যায়নি বহু জায়গায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে স্থানীয়স্তরে কর্মী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, জানিয়েছেন বিজেপির এক জেলা সভাপতি। বহু কর্মী বসে গিয়েছেন। অনেকে আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।