সোনিয়া গান্ধীকে গ্রেপ্তার করতে পারে ইডি, জে পি নাড্ডা কি সেরকমই ইঙ্গিত দিলেন?
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আর্থিক তছরুপ মামলায় (পিএমএলএ) গ্রেপ্তার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা তল্লাশি চালাতে পারবে বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিএমএলএ আইনের আওতায় ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার বেশির ভাগই খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চ কার্যত সিলমোহর দিল ইডি’র ক্ষমতাকে।
শীর্ষ আদালত যেমন রায় দিয়ে বলেছে, গ্রেপ্তার, তল্লাশি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর পাশাপাশি অভিযোগের কপি অভিযুক্তের হাতে দিতে বাধ্য নয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, তেমনি বলেছে, ইডির বিপুল ক্ষমতা ব্যবহার করে যেন ইচ্ছেমতো গ্রেপ্তার করা না হয়। অর্থপাচার মামলায় ইডির হেফাজত থেকে জামিন পেতে গেলে যা শর্তাবলি রয়েছে, সেগুলিকেও মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে ইসিআইআরের কপি অভিযুক্তের হাতে দিতে বাধ্য নয় ইডি। শুধুমাত্র গ্রেপ্তারের কারণ জানিয়ে দিতে হবে অভিযুক্তকে।
বিরোধীদের অভিযোগ তাদের নিশানা করতেই মোদী সরকার ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইডি ন’বছরে মোট ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে ৩,০১০টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি।
সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের রায়ের মধ্যে দিয়ে ইডি বড় জয় পেল বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘‘ইডির ক্ষমতাকে মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আইন তো আইনের পথেই চলছে। কিন্তু কংগ্রেস একটি পরিবারকে আইনের ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে চাইছে। সেই চেষ্টা কাজে লাগবে না। দেশের আইনকে সম্মান জানাতে হবে সকলকে।’’ নাড্ডার এই মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, তিনদিন ধরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় জেরা করছে ইডি। তাহলে কি এবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার দিকে এগোচ্ছে ইডি? সেরকমই কি ইঙ্গিত দিলেন জে পি নাড্ডা।