পরবর্তী খরিফ মরশুমে ৫৫ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্য স্থির করছে বাংলা
বাংলার সরকার সব সময় কৃষকদের জন্য লড়াই করে, কৃষিজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রেশন গ্রাহকদের চাল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর রাজ্য। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে আগামী খরিফ মরশুম শুরু হবে। পরবর্তী খরিফ মরশুমেও ৫৫ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলা। এ বিষয়ে খাদ্যদপ্তর উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকও সেরে ফেলেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর মিলছে।
চলতি বছরের খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারি উদ্যোগে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও তা বাড়িয়ে ৫৫ লক্ষ টন করা হয়। এখনও অবধি চলতি মরশুমে প্রায় সাড়ে ৫৩ লক্ষ টন ধান কেনেছে রাজ্য সরকার। যা সর্বকালীন রেকর্ড। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে, আশাবাদী খাদ্যদপ্তর। ধান কেনার জন্য চটের বস্তাও কেনা হবে, বলে জানা যাচ্ছে। রেশনে, স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সরকারি উদ্যোগে ক্রয় করা ধান থেকে উৎপাদিত চাল সরবরাহ করা হবে।
অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে চলতি মরশুমের মতোই আগামী মরশুমেও কেন্দ্রের সংস্থা এফসিআইকে বাংলা থেকে ৫ লক্ষ টন ধান কিনতে বলবে রাজ্য। যদিও এফসিআই বাংলা থেকে খুব সামান্য পরিমাণ ধান কিনেছে। বাংলার আর্জি, বাংলা থেকে এফসিআই ধান কিনে উৎপাদিত চাল বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করুক। রাজ্যের কেনা ৫৫ লক্ষ টন ধানের ৩৫ লক্ষ টন থাকবে সেন্ট্রাল পুলের জন্য। বাকি ২০ লক্ষ স্টেট পুলের জন্য বরাদ্দ করা হবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতাধীন রেশন গ্রাহকদের, এই সেন্ট্রাল পুল থেকেই চাল দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের চাল স্টেট পুল থেকে সরবরাহ করা হয়।
জানা যাচ্ছে, খাদ্য দপ্তরের বৈঠকে ঠিক হয়েছে আগামী মরশুমে ধান কেনার স্থায়ীকেন্দ্রের অর্থাৎ সিপিসির সংখ্যাও বাড়ানো হবে। চলতি মরশুমে যেখানে ৪৬৮টি সিপিসি কার্যকরী ছিল, সেখানে আগামী মরশুমে তার সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৯৩ করা হবে। একই সঙ্গে গ্রামে গ্রামে গাড়ি পাঠিয়েও ধান কেনা ব্যবস্থা করবে রাজ্য।