বিপজ্জনক চরতোর্ষা ডাইভারসনের কঙ্কালসার চেহারা, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
জল কমতেই শনিবার ফালাকাটা-সোনাপুর জাতীয় সড়কের চরতোর্ষা ডাইভারসনের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে এসেছে। জলের ধাক্কায় ডাইভারসনের দু’দিকের অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে গিয়েছে। ডাইভারসনের মাঝখানে গর্তও তৈরি হয়েছে। বড় বড় বোল্ডার যেখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে। ভাঙাচোরা এই ডাইভারসনের উপর দিয়েই এদিন ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারের যানবাহন চলাচল করেছে। বিপজ্জনকভাবে সাইকেল, মোটর বাইক, টোটো, অটো চলাচল করছে। ডাইভারসনের এই বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তাঁরা দ্রুত ডাইভারসন সারাইয়ের দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য দ্রুত ডাইভারসন সারাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে।
গত ১৭ জুন প্রথম জলের তোড়ে ভেঙে যায় চরতোর্ষা ডাইভারসন। দু’দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। জল কমলে ডাইভারসন সারাই করা হয়। এর কিছুদিন পর ফের ডাইভারসনের দু’দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় একদিন যান চলাচল বন্ধ থাকে। গত শুক্রবার হঠাৎ করেই চরতোর্ষা নদীর জল বেড়ে যায়। ফের ডাইভারসনের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার জল কমতেই ডাইভারসনের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে আসে।
এই রাস্তায় তৈরি হচ্ছে চার লেনের মহাসড়ক। লকডাউন ও বর্ষার জেরে মহাসড়কের কাজ থমকে রয়েছে। প্রসঙ্গত,২০১৭ সালের বন্যায় চরতোর্ষায় কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়। পাশে হিউম পাইপ বসিয়ে তৈরি করা হয় ডাইভারসন। কিন্তু প্রতি বর্ষায় এই ডাইভারসন ভেঙে যাচ্ছে। এখনও এই চরতোর্ষায় নতুন সেতুর কাজ সেভাবে শুরু হয়নি।
এদিন যানবাহন চলাচল করলেও ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে ডাইভারসন পার হতে হয়েছে। বিপজ্জনকভাবে টোটো ও অটো চলাচল করেছে। অটো চালক রতন সরকার বলেন, ‘বারবার এই ভোগান্তি হচ্ছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে।’ টোটো চালক সঞ্জীৎ তরফদার বলেন, ‘এদিন ধাক্কা দিয়ে টোটো পার করতে হয়েছে। জল কমলেও ডাইভারসন সারাই করা হয়নি।’ কালীপুরের বাসিন্দা ঘনশ্যাম বর্মন বলেন, ‘জল বাড়লে খুব প্রয়োজনেও ফালাকাটা যেতে ভয় লাগে। তাই দ্রুত নতুন ব্রিজ তৈরি করা হোক।’ তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আপাতত ডাইভারসন সারাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর প্রোজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার সমীরণ ঘোষ বলেন, ‘চরতোর্ষার ওখানে নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। আমি সাইড ইঞ্জিনিয়ারকে বলে দিচ্ছি। জল কমে যাওয়ায় দ্রুত ডাইভারসন সারাই করা হবে।’