দ্বিচারী মোদী, বিলকিস গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের মুক্তির প্রতিবাদে সরব তৃণমূল
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর লালকেল্লা থেকে গলা ফাটিয়ে নারীশক্তি তথা নারী ক্ষমতায়নের জয়গান গেয়েছিলেন মোদী কিন্তু ভাষণের কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ল যাবতীয় আত্মপ্রচার ঢাকের নিনাদ। মোদী রাজ্য তথা বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য গুজরাতের সরকার ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ (Bilkis gangrape case) কাণ্ডের এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি রাজ্য। এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। এটাই কি মোদীর ভারতের নমুনা, বলেও খোঁচা দিতে পিছপা হচ্ছেন না বিরোধীরা। সেই সঙ্গেই দোষীদের মুক্তির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীরা।
বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডের এগারো জন দোষীর মুক্তির প্রতিবাদ সরব তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের মুখপাত্র সাকেত গোখেল (Saket Gokhale) টুইটারে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে লিখছেন, ‘২০০২ গুজরাত গণহত্যার সময় বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করে, তাঁর গোটা পরিবারকে খুন করে কবর দেওয়া হয়। এহেন ঘৃণ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১১ জন দানবকে গুজরাত সরকার মুক্তি দিয়েছে। নয়ডার সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের রাগ কোথায় গেল? এমনকি কোথাও কোন ফিসফাঁসও নেই।’
সাকেত আরও লেখেন, দোষী মুক্তিদের নিয়ে কোন সংবাদমাধ্যম, নয়ডার কোন টিভি চ্যানেল, কোন বিজেপি (BJP) সমর্থক কেউ কোন প্রতিবাদ করল না। সাকেতের মতে এর তিনটে কারণ হয়েছে। প্রথমত, ধর্ষিতার নাম বিলকিস বানো। দ্বিতীয়ত, এটা ২০০২ সালের ঘটনা। তৃতীয়ত, ঘটনাটি গুজরাতের ঘটেছিল।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের গোধরা জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্যে কিছু জেলবন্দিদের মুক্তির কথা রাজ্যদের জানিয়েছিল মোদী সরকার। যদিও বলা হয়েছিল কোন ধর্ষককে যেন কোনভাবেই ছেড়ে না দেওয়া হয়। এরপরেও কীভাবে গুজরাত সরকার ধর্ষকদের ছেড়ে দিল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একই সঙ্গে নারীশক্তির কথা আর অন্যদিকে মহিলাদের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার করা দোষীদের মুক্তি দেওয়া, আদপে বুঝিয়ে দিল মোদীর দল দ্বিচারী।