বিলকিস গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের মুক্তি নিয়ে সরব তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার।

August 19, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার। ১৫ আগস্ট দণ্ডিত সেই ১১ জন ‘আজাদি’র স্বাদ পেয়েছ। জেল থেকে বেরনোর পরেই এগারোজন দোষীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গুজরাতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে মালা এবং তিলক পরে বসে আছে দোষীরা! আর তাতেই ফের আশঙ্কায় কেঁপে উঠছেন বিলকিস বানো।

মানবাধিকার কর্মী, ইতিহাসবিদ থেকে আমলা— সমাজের নানা স্তরের প্রায় ছয় হাজার মানুষ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতায় একযোগে সরব হয়েছেন। দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক সুপ্রিম কোর্ট, এই আর্জি জানালেন তাঁরা। বিলকিসের অপরাধীদের আগাম মুক্তি দেওয়া ‘ন্যায়বিচারের জন্য গুরুতর গর্ভপাত’ বলে বর্ণনা করেছেন তাঁরা। ছ’হাজার মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিচারব্যবস্থার উপর মহিলাদের আস্থা ফেরানোর দাবি জানাচ্ছি। ১১ জন দোষীর মুক্তির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। তাঁদের পুনরায় জেলে পাঠানো হোক।’

এই পরিস্থিতে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদরাও। টুইটারে এবিষয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগড় দিয়েছেন তাঁরা।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘১১ জন মানুষ যারা গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তাদের কেন মুক্তি দেওয়া হল? তাহলে ১৫ আগস্টের ভাষণের সারবত্তাই বা কী? আপনি তো মহিলাদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। একজন মহিলা হিসেবে ভগ্নহৃদয় নিয়ে এই কথা বলছি। আমি ক্রুদ্ধ।’ মিমি টুইটে আরও লেখেন, ‘‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করে মিমি লেখেন, ‘সব বাড়িতে তেরঙ্গা তো ওড়ানো হল, কিন্তু স্বাধীনতা কি পাওয়া গেল? ৭৫ বছর পরেও? নিজেকেই প্রশ্ন করুন।’



তৃণমূলের অপর আরেক অভিনেত্রী সাংসদ নসরত টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লেখেন, ‘কবে এমন অন্যায় শেষ হবে তার অপেক্ষায়। আমি অপেক্ষায়। তিনিও অপেক্ষায়। বিলকিস বানো। ন্যায়বিচার সততার প্রতিনিধিত্ব করে। এবং সত্যি, সত্যিটা হল ১১ জন গণধর্ষণ ও খুনের অপরাধীর মুক্তির পরে মিষ্টি বিলোনো হচ্ছে।’


কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে লেখেন, দেশকে আগে ভেবে দেখতে হবে বিলকিস বানোকে কী হিসেবে দেখা উচিত- একজন মহিলা না একজন মুসলিম।


TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন