বিলিকিসের ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতার সরব গোটা দেশ, সামিল জাভেদ আখতারও
মোদী ও তার দলের দ্বিচারিতার সাক্ষী হয়ে থাকল ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। লালকেল্লা থেকে নারী ক্ষমতায়নের বুলি আওড়ানো প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতের তারই দলের সরকার বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্ত করল। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, বিরোধী রাজনীতিকেরা তো বটেই, একই সঙ্গে সমাজের নানান স্তরের মানুষেরা এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে। সকলেই ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধীতা করছেন। সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, ইতিহাসবিদ, নাট্যব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে লেখক, আমলা সবাই সামিল হয়েছেন। প্রায় ছয় হাজার মানুষ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতায় সরব। প্রখ্যাত লেখক জাভেদ আখতারও সামিল হলেন প্রতিবাদে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, গুজরাতে মোদীর শাসনকালে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে ১১ জন গণধর্ষণ করেছিল। বিলকিসের চোখের সামনেই তার গোটা পরিবারকে খুন করেছিল ওই ধর্ষকেরা। বিলকিসের তিন বছরের মেয়েকেও আছড়ে মেরেছিল তারা। ২০০৮ সালে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ২০২২-এর ১৫ আগস্ট ওই ধর্ষকদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাতের ডবল ইঞ্জিন সরকার। এই ঘটনায় আতঙ্ক ভুগছেন বিলকিস। তাঁর স্বামী ইয়াকুব রসুলের কথায়, তাদের ১৮ বছরের লড়াই শেষ হয়ে গেল। তারা ভীত, দিশাহায়া। বাসস্থান পরিবর্তন করবেন কিনা তা নিয়েও চিন্তিত। গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্যে বিলকিস আবেদন করেছেন বলেও জানিয়েছেন ইয়াকুব।
এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতায় সরব জাভেদ টুইটে লিখছেন, ‘যারা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ করে তার পরিবারের সাত জন সদস্যসহ তিন বছরের শিশুকে আছড়ে মেরে ফেলতে পারে, সেই দোষীদের মুক্তি দেওয়ার পর মিষ্টি মুখ করিয়ে, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হলে আমি নিশ্চিত, আমাদের সমাজের গভীর অসুখ করেছে। আমাদের সমাজের মধ্যেই কিছু তো গণ্ডগোল রয়েইছে’।