ঘোর দুশ্চিন্তায় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা! ফের গুজরাটে ফুটবে পদ্মফুল?
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গুজরাট সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী এবং পূর্ণেশ মোদীর দায়িত্ব কমানো হল। এরা দু’জনই একইসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন। রাজেন্দ্র ত্রিবেদীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে রাজস্ব দপ্তর। সড়ক ও নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পূর্ণেশ মোদী। তবে রাজেন্দ্র ত্রিবেদী আগের মতোই আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং পরিষদীয় মন্ত্রিত্ব সামলাবেন। পূর্ণেশ মোদীর হাতেও থাকবে পরিবহণ, তীর্থক্ষেত্র, পর্যটন এবং বিমান পরিবহণ দপ্তর।
এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, তাহলে কি নির্বাচনের আগে গুজরাট নিয়ে চাপে বিজেপি? আগামী ডিসেম্বরে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন। এবার গুজারট নিয়ে বেশ চাপে আছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, এমনিতেই দীর্ঘদিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পলে বিজেপি সরকার বিরোধী একটা হাওয়া তৈরি হয়েছে। তার উপর বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের উপর মানুষের কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আবার পাঞ্জাব দখলের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ গুজরাটে আদা-জল খেয়ে নেমে পড়েছে। গুজরাটে আপ এবার ভাল ফল করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কংগ্রেসও অতীতের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যে ফের মন্ত্রিসভায় রদবদল করল বিজেপি। শোনা যাচ্ছে যে মন্ত্রীদের দায়িত্ব কমানো হল, তাঁদের দপ্তরের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। তাই নির্বাচনের আগে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাননি তিনি।
কয়েকদিন আগেই বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার।
গোধরার উপসংশোধনাগারে গত ১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল সকলে। ১৫ আগস্ট মুক্তি পেয়ে তারা বেরিয়ে এসেছে। জেল থেকে বেরনোর পরেই এগারোজন দোষীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই গুজরাট বিধানসভার ভোট। তার আগে ২০০২-এর ‘বীর’দের পুনর্বাসন দিয়ে মেরুকরণের তাস খেলতে চাইছে বিজেপি। এরই সঙ্গে ২০০২-কে খাতায়কলমে কলঙ্কহীন প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
সব মিলিয়ে বিজেপি এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গুজরাট পুনর্দখলের জন্য। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার বিজেপির কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। ইতিমধ্যেই কেজরিওয়ালরা অভিযোগ করতে শুরু করে দিয়েছেন, গুজরাটে তাদের জোরালো উপস্থিতিকে ভয় পেয়ে ইডি, সিবিআইর দ্বারস্থ হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।