ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধাচারণ খোদ RBI-এর মাসিক বুলেটিনে?
সরকারি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ নিয়ে নীতি আয়োগের সঙ্গে মতান্তর তৈরি হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধাচারণ করা হয়েছে খোদ আরবিআইয়ের মাসিক বুলেটিনে প্রকাশিত একটি রিসার্চ পেপারে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর বেরোতেই মুখ লুকাচ্ছে মোদী সরকার।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিলগ্নিকরণ চেয়ে নীতি আয়োগ অর্থমন্ত্রককে বারংবার বলেছে। মোদী সরকারও সেইমতো নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে। তাদের পরিকল্পনা হল একটি বা দু’টি বড় ব্যাঙ্ক রেখে বাকি সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিংহভাগ মালিকানা ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে দেওয়া। সে অর্থে চূড়ান্ত করা হয়েছে অন্তত দু’টি ব্যাঙ্কের নাম । শীঘ্রই আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৫১ শতাংশ বিক্রি করা হবে। তার পাশাপাশি আরও দুটি ব্যাঙ্কও নজরে আছে।
উল্লেখ করা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই রিসার্চ পেপারে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যাঙ্ক বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় অনেক ভালো পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালের ধাক্কা বেসরকারি ব্যাঙ্কের থেকে কম লেগেছে সরকারি ব্যাঙ্কে। এমনকী সরকারি ব্যাঙ্কে মুনাফাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার হারও বেশি। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণই যে কোনও অসুখের একমাত্র দাওয়াই বলে ধরে নেওয়া হলেও দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিত এবং বাণিজ্য সম্ভাবনা তথা আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে যতটা মুন্সিয়ানা বিগত কয়েক বছরে সরকারি ব্যাঙ্ক দেখিয়েছে, সেটা উপলব্ধি করে উচিত আরও একবার চিন্তাভাবনা করা ব্যাঙ্কের অবাধ বেসরকারিকরণ নীতি নিয়ে, বলছে সেই রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে পারে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিসার্চ পেপার সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করে বিকল্প চিন্তার দিকে অঙ্গুলিহেলন করায় জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোদী সরকার ঘোর অস্বস্তিতে পড়েছে।