কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ের জন্যে গঙ্গার উপর তৈরি হতে চলেছে সেতু

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর এস কে মল্লিকও জানিয়েছেন যে ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে।

August 28, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ের (Kolkata–Varanasi Expressway) জন্যে হুগলি নদীর (Hooghly river) উপর তৈরি হতে চলেছে সেতু। কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ের জন্যে মোট ৫৪৯ কিমি রাস্তা হবে, যার মধ্যে বাংলার উপর দিয়ে ২৫৬ কিমি রাস্তা যাবে। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার ঝালদা হয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি বাংলায় প্রবেশ করবে। কাশী থেকে শুরু হয়ে পুরুলিয়ায় বাংলায় প্রবেশের পর ক্রমানুসারে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করবে এই জাতীয় সড়ক।

চলতি সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে নিয়ে পূর্তদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সেরেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্র সেতু ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর যানজট এড়াতেই নতুন এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আলাদা করে ব্রিজের কথা ভাবা হচ্ছে। এই ব্রিজ তৈরি হলে, সেটি হবে হুগলির নদীর উপর তৃতীয় ব্রিজ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর এস কে মল্লিকও জানিয়েছেন যে ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, বাংলায় তিনটি জাতীয় সড়কের কাজ হবে। নেপাল বর্ডার রকশল থেকে হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত ৬২০কিমি দীর্ঘ একটি জাতীয় সড়ক তৈরি করা হবে। যা আসানসোলের উপর দিয়ে যাবে। যানজট কমাতে কোণা এক্সপ্রেসওয়ে এলিভেটেড করিডর মাল্টি টায়ার রোড হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। ত্রিস্তরীয় করিডর থাকবে, এবং তিনটি স্তরেই যানবাহন চলাচল করবে। এই প্রকল্পের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খড়গপুর মোড়গ্রাম ২৩৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হচ্ছে।

২৭ আগস্ট দুর্গাপুরে এনআইটি দুর্গাপুর ও একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রমোশন অব গ্রিন টেকনোলজি অন রুরাল রোড কনস্ট্রাকশন নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থা সেই আলোচনাসভায় হাজির ছিল। সড়ক নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্য‌বহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রাস্তা নির্মাণে দূষণ নিয়েও আলোচনা করা হয়। এনআইটির এক গবেষক জানান, এক কিমি রাস্তা তৈরি করতে ১৫০০ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হয়। ন্যাশনাল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বিসি প্রধানের কথায়, গ্রিন টেকনোলজির অন্যতম উপাদান হল ওসিপির ওভারবার্ডেন। যা দিয়ে রাস্তা তৈরি করলে খরচ অনেক কম হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্লাস্ট ফার্নেসের স্ল্যাগ, ফ্লাই বিকল্প রাস্তা তৈরির বিকল্প উপাদান। পরিবেশ রক্ষায় এই উপাদানগুলি দিয়ে রাস্তা তৈরির কথাও বলেন তিনি।

অন্যদিকে বাংলা অনেকদিন ধরেই বিকল্প উপাদানের সাহায্যে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বাংলায় প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ওয়েস্ট মেটিরিয়াল দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন