ভাড়া বৃদ্ধিই চাই, বাসের পর দাবি রাজ্য ট্যাক্সি সংগঠনের
বাসের পর এ বার ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাবের সমস্যাও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শহরে। ১৫ দিন আগে কলকাতার রাস্তায় যে পরিমাণ ট্যাক্সি চলত, লাভের অভাবে সেই সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। সামনের দু’সপ্তাহে রাজপথে ট্যাক্সির সংখ্যা আরও কমে যাবে বলে মনে করছে বিভিন্ন ট্যাক্সি সংগঠন।
এক অ্যাপ ক্যাব চালকের কথায়, জ্বালানি খরচ এবং অ্যাপ ক্যাব সংস্থার কমিশন মিটিয়ে দিনের শেষে হাতে আড়াইশো টাকাও থাকে না। এক-দু’দিন নয়, বেশ কয়েক দিন ধরে অবস্থা এমনই চলছে শহরের অনলাইন অ্যাপ ক্যাব চালকদের। হতাশায় অনেকেই আর গাড়ি বের করতে চাইছেন না। শহরের যানচিত্র স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন ট্যাক্সি ইউনিয়নও সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করছে। ট্যাক্সি চালকেরাও বলছেন, জ্বালানির দাম আর মালিকের পাওনা মেটানোর পর হাতে কিছুই থাকছে না।
ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নিয়ে বাসমালিকদের সংগঠন আন্দোলন শুরুর পর এবার একই দাবি নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কাছে দরবার করতে শুরু করেছে অনলাইন এবং কলকাতার সাবেক ট্যাক্সি সংগঠনগুলো। লকডাউনের পর শহরের রাজপথে সে ভাবে বাড়েনি ট্যাক্সির যাত্রী। কিন্তু প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। আয় কমেছে চালকদের। অনলাইন অ্যাপ ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমরা মঙ্গলবার এই বিষয়টা পরিবহণ সচিবের গোচরে আনব। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে চালকদের হাতে কিছুই থাকছে না। রোজগারের অভাবে একজন চালক আত্মহত্যাও করেছেন। এবার প্রশাসন কথা বলুক অ্যাপ ক্যাব প্রোভাইডারদের সঙ্গে।’
অন্য দিকে জুলাইয়ের মাঝামাঝির মধ্যে ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে না এলে ট্যাক্সি ধর্মঘটের পরকল্পনা রয়েছে বেঙ্গল ট্যাক্সি ইউনিয়নের। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিমল গুহ বলছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা ট্যাক্সিতে উঠলেই ৫০ টাকা দাবি করছি। প্রশাসন যদি বিষয়টি হালকা ভাবে দেখে তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের মতো ভাড়া বাড়িয়ে নেব, না হলে ট্যাক্সি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম থাকার জন্য এখনও কাজের দিনগুলোয় শহরের যাত্রীদের একটা বড় অংশ অ্যাপ ক্যাব এবং ট্যাক্সিতে যাতায়াত করছেন। কিন্তু ট্যাক্সির সংখ্যা এর পরও কমতে থাকলে যাত্রীদের দুর্গতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।