‘লোকে জামা কেনে, বিজেপি কেনে বিধায়ক’, ‘আস্থা’ জিতে বিজেপিকে খোঁচা সোরেনের
সোমবার আস্থাভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। এর ফলে ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে আপাতত যবনিকা পড়ল। জোট সরকার বাঁচাতে মরিয়া ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন দলীয় বিধায়কদের নিয়ে এ রাজ্য, সে রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।
সম্প্রতি খনি লিজ ‘দুর্নীতি’তে নাম জড়িয়েছে হেমন্তের। এই মামলায় সোরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিধায়ক পদ বাতিল হলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারাতে পারেন সোরেন। এ নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠি এখনও রাজ্যপালের কাছে খামবন্দি হয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে সোরেন থাকবেন কিনা, তা ওই চিঠি খুললেই স্পষ্ট হবে। কিন্তু সাত দিন পার হলেও ওই খামবন্দি চিঠি রাজ্যপাল খোলেননি, এ নিয়ে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন সোরেনরা। তাঁদের অভিযোগ,জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই অভিযোগের আবহেই সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট করা হয়।
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা একক বৃহত্তম দল। তাদের রয়েছে ৩০টি আসন। কংগ্রেসের (Congress) আছে ১৮টি এবং আরজেডির (RJD) একজন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ৪১। এদিন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থাভোটে ৮১টির মধ্যে ৪৮টি ভোট পায় ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট। এরপরই বিধানসভা থেকে ‘ওয়াক আউট’ করে বিজেপি। এদিন গেরুয়া শিবিরক নিশানা করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি লোকে জামাকাপড় কেনে, রেশন কেনে। বিজেপি শুধু মাত্র বিধায়ক কেনে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাকে সরাতে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছে বিজেপি। তবে ওরা নিজেরাই সেই জালে আটকে পড়বে।’’