স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে এবার জেলায় জেলায় ‘সৃষ্টিশ্রী’
ঢাকুরিয়ায় ‘সৃষ্টিশ্রী’ নামে একটি মল রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি হয়। এবার সেই ধাঁচেই প্রতি জেলায় খোলা হবে ‘সৃষ্টিশ্রী’।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাশে দাঁড়াতেই এই নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তাঁদের তৈরি করা সামগ্রীর সম্ভার এক ছাতার তলায় এনে বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে জেলার ‘সৃষ্টিশ্রী’ গুলি ঢাকুরিয়ার মলের আদলে হবে না। সংশ্লিষ্ট জেলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নিজস্বতা মাথায় রেখে তা গড়া হবে। ওই জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি করা সামগ্রীর সঠিক বিপণনই দপ্তরের মূল উদ্দেশ্য।
এই বিক্রয়কেন্দ্র তৈরি করার জন্য কিছু জেলা ইতিমধ্যে জায়গা চিহ্নিত করেছে। জনবহুল এলাকার কাছাকাছি জায়গা খোঁজার কাজ চলছে বলে খবর। তবে পরিকাঠামো রয়েছে, এমন জায়গাকেই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে জেলাগুলি। যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমতলার কর্মতীর্থকে বেছে নেওয়া হয়েছে ‘সৃষ্টিশ্রী’র জন্য। আরও একটি জায়গার খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বও দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। যেমন সার্কিট হাউস, সরকারি ট্যুরিস্ট লজ, ইয়ুথ হস্টেল ইত্যাদি জায়গায় ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হবে। এক আধিকারিকের কথায়, নারীদের ক্ষমতায়নে পঞ্চায়েত দপ্তর এরকম একাধিক পদক্ষেপ করছে।
‘সৃষ্টিশ্রী’তে সারা বছরই মিলবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি করা জিনিসপত্র কেনাবেচার সুযোগ। দপ্তরের কর্তাদের মতে, এতে এই মহিলাদের তৈরি করা সামগ্রী বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, ভালো বিক্রিবাটা হলে অর্থনৈতিক দিক দিয়েও লাভবান হবেন তাঁরা।