মোদীর আনা চিতাদের খাবার বিলুপ্তপ্রায় চিতল হরিণ! ক্ষুব্ধ বিষ্ণোই সম্প্রদায়

হরিণের এই বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষার জন্য রাজস্থানের বিষ্ণোই মহাসভার তরফে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকি অভিনেতা সলমন খান কৃষ্ণসার হত্যার পর সবথেকে বেশি প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়কেই।

September 20, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিজের জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতাকে মধ্যপ্রদেশের নামিবিয়ায় ছেড়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী তো বিমানে চাপিয়ে চিতাগুলোকে নিয়ে এলেন। কিন্তু তারা খাবে কী? তা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে বিতর্ক।

জানা যাচ্ছে আটটি চিতার খাবারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ২০০টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির চিতল হরিণ! (Deer) যা নিয়ে সরব হয়েছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এভাবে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীকে চিতার খাদ্য বানানোর বিষয়টি আরও একবার বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই আটটি চিতার জন্য বিলুপ্তপ্রায় হরিণ পাঠানো আসলে একধরনের ‘পরিকল্পিত হত্যা’। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে সর্বভারতীয় বিষ্ণোই মহাসভার প্রধান লিখেছেন, ‘চিতাদের খাবারের জন্য হরিণ পাঠানোর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক, যা আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরেই ভারত থেকে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সরকার নতুন করে আবার সেই প্রাণীকে বাইরে থেকে আনিয়েছে। অথচ যে বন্যপ্রাণীরা বর্তমানে ভারতে বিলুপ্তির মুখে, তাদের সংরক্ষণের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের (Bishnoi) মানুষজন কৃষ্ণসার হরিণ-সহ যে কোনও বন্যপ্রাণীকেই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। হরিণের এই বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষার জন্য রাজস্থানের বিষ্ণোই মহাসভার তরফে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকি অভিনেতা সলমন খান কৃষ্ণসার হত্যার পর সবথেকে বেশি প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়কেই।

বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই একটি টুইটে লিখেছেন, ‘আমি শুনেছি, চিতাগুলির (Cheetah) জন্য হরিণ পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। রাজস্থানে এই হরিণ বিলুপ্তির মুখে। তাদের চিতার মুখে তুলে দেওয়া বিষ্ণোইদের ভাবাবেগেও আঘাত হানছে। এটা যদি সত্যি হয়, তা হলে অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen