প্রতীক্ষার অবসান: টালা ব্রিজ উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন পুজোর উপহার
প্রতীক্ষার অবসান। প্রায় আড়াই বছর পর পুজোর আগে খুলে গেল টালা ব্রিজ ওরফে ‘হেমন্ত সেতু’ (Hemanta Setu)। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিট নাগাদ নবনির্মিত টালা ব্রিজ (Tala Bridge) রিমোটে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘পুজোর আগে এটা উপহার’’।
২০২০ সালে ব্রিজটা ভাঙার কাজ শুরু হয়। প্রায় আড়াই বছর পর নতুন রূপে ফের খুলল ‘হেমন্ত সেতু’। এদিন সেতুর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন রেলের প্রতিনিধিরাও। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, টালা ব্রিজ সংলগ্ন রেলের জমিটি রাজ্য কিনতে চায় দরিদ্র মানুষজনের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সেই জমি বিক্রিতে রেল যাতে রাজি থাকে, ডিআরএমের কাছে সেই আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বরাহনগর বা সিঁথির মোড় থেকে উত্তর কলকাতায় আসতে এখন আর পেরোতে হবে না বেলগাছিয়া ব্রিজের যানজট। পুজোর আগে টালা সেতু খুলে যাওয়ার ফলে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতি বছর শহরের বেশ কয়েকটি বড় পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিলেন। কার্যত পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, এফডি ব্লক ও টালা পার্কের পুজোর উদ্বোধন করলেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন, ‘‘পুজো শুরু হয়ে গেল।’’
এদিন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর ‘শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করে তাঁকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সুজিতবাবুকে একটাই অনুরোধ— ‘বাবু’ বলছি, আমার রাস্তা যেন বন্ধ না হয়। শেষকালে লোকে প্লেন ধরতে পারল না। রাস্তায় যেতে পারল না। এগুলো যেন না হয়।’’ তারপর বড় দিদির মতো মমতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে খবর রাখব। আর যদি বজ্জাতি কিছু করেছ…তা হলে কিন্তু ওটা ‘বাবু’ থেকে দিদির স্নেহের পরশে অন্য কিছু হয়ে যাবে! অন্য ভাষায় দিদি তখন কথা বলবে। (অতঃপর সমবেত জনতাকে লক্ষ্য করে) আমি একটু মাটির ভাষায় কথা বলতে ভালবাসি। কারণ আমরা মাটির লোক।’’