রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

যৌথ আন্দোলনে নতুন ওয়েবসাইট বাম ও কংগ্রেসের

July 8, 2020 | 2 min read

বিজেপির মতো ভার্চুয়াল জনসভা নয়, বাম ও কংগ্রেস রাস্তায় নেমেই লাগাতার প্রতিবাদ জারি রাখবে। হো চি মিনের মূর্তির সামনে উম্পুনের ত্রাণে দুর্নীতি ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিদ্যুতের মাসুল হ্রাস সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার যৌথ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই বার্তাই দিলেন দুই শিবিরের নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে ঘোষণা হল, যৌথ আন্দোলন সম্পর্কিত এবং আম-জনতার মতামত ধারণে নতুন ওয়েবসাইটও তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ রাস্তার পাশাপাশি অন্তর্জালেও ছড়াচ্ছে যৌথ কর্মসূচি।

যৌথ আন্দোলনে নতুন ওয়েবসাইট বাম ও কংগ্রেসের

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েও এ দিনের বিক্ষোভসভায় আন্দোলন তীব্রতর করার ডাক দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও ভার্চুয়াল জনসভার বদলে রাস্তায় নেমেই আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই হো চি মিনের মূর্তির সামনে পার্কে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই প্রথম জনসভার ঢঙে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মনোজ ভট্টাচার্য, নরেন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ভাষণ দেন। প্রদীপের সঙ্গে অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তীরাও ছিলেন। সোমেন মিত্র অবশ্য আইসোলেশনে থাকায় আসতে পারেননি। বিভিন্ন জেলাতেও বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি হয়েছে।

এই ধরনের যৌথ কর্মসূচির প্রতি আমজনতার দৃষ্টি আকর্ষণে পৃথক ওয়েবসাইট তৈরির কথা ঘোষণা করেন প্রদীপ। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেই কী ভাবে মানুষের কথা তুলে ধরা যায়, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা যায়–বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব তা দেখিয়েছেন। আমরা বিজেপি, তৃণমূলের মতো ভার্চুয়াল আন্দোলনে নেই, রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ করছি। অন্য দিকে মানুষ যাতে তাঁদের কথা বলতে পারেন, অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন–সে জন্য একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করছি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#left-congress

আরো দেখুন