ঠাকুর দেখতে যাবেন? এই বনেদি বাড়ির পুজোগুলোতে যেতে ভুলবেন না
বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুর্গোৎসব। দুর্গা পুজো মানে বাঙালির আবেগ। এই পুজোর সাথে জড়িয়ে আছে নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্য। অতীতে পুজো বলতে ছিল বনেদি বাড়ির পুজো। রইল কলকাতার এমনই ১০টি বনেদি বাড়ির পুজোর হদিস।
দক্ষিণ কলকাতার বড়িশাতে সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের আটচালা দুর্গোৎসব। শুরু হয়েছিল ১৬১০ সালে।
শোভাবাজার রাজবাড়ির বিখ্যাত পুজো, যা রাজা নবকৃষ্ণ দেব পরিবারের পুজো নামে পরিচিত। শুরু হয়েছিল ১৭৫৭ সালে।
মধ্য কলকাতার বদন চন্দ্র রায় পরিবারের ১৬০ বছরের পুরনো পুজো। এই পরিবারের পুজোয় ফল বলি দেওয়ার প্রথা প্রচলন আছে।
উত্তর কলকাতার পূর্ণেন্দু চন্দ্র ধর বৈষ্ণব পরিবারের ১৬০ বছরের পুরনো পুজো। এখানে দেবী প্রতিমার ১০টি হাতের পরিবর্তে থাকে দুটি হাত।
উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায় অবস্থিত খেলাত ঘোষ পরিবারের দুর্গোপুজো। মার্বলে করিডোর, ৪০ ফুটের বেশি লম্বা ঠাকুর দালানে দেবী পুজিত হন, এখানে দেবী মাকে বাড়িতে তৈরি মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয়।
উত্তর কলকাতায় জোড়াসাঁকোতে বসবাস শিবকৃষ্ণ দাঁ পরিবারের। এই বাড়ির পুজোয় সোনা ও রূপোর অলঙ্কারে সজ্জিত প্রতিমা দেখা যায়। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৪০ সালে।
জোড়াসাঁকোতে সুবল চাঁদ চন্দ্র বাড়ির দুর্গাপুজোে। পরে এঁরা ঝামাপুকুর বাড়িতে চলে আসেন। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৪০ সালে।
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে রাধাগোবিন্দ মল্লিক পরিবারের পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৬০ সালে। ১৯২৫ সালে এই বাড়ির পুজো বর্তমান বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়।
খিদিরপুরের ভূকৈলাশ রাজবাড়ির ৩০০ বছরের পুরনো পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৭৮১ সালে।
যানবাজারের রানী রাসমণি পরিবারের দুর্গাপুজো। ১৯ শতকে এই পুজো শুরু হয়েছিল। রানি রাসমনির পরিবারের সদস্যরা এখনও এই দেবীর আরাধনা করে আসছেন।