চতুর্থীতেই ভিড়ে ভাসল মহানগরী, উত্তর থেকে দক্ষিণে চলছে জমিয়ে ঠাকুর দেখা
চতুর্থীতেই ভিড়ে ভাসল মহানগরী। পুজো (Durga Puja 2022) পুরোদমে শুরু না হতেই জনপ্লাবন দেখ ফেলল তিলোত্তমা। ত্রিধারাতে তিল ধারণের জায়গা নেই। ত্রিধারা সেরেই সিংহী পার্ক, একডালিয়ার দিকে ভিড় এগোচ্ছে। নানান দেশের কনসাল জেনারেলরা বেরিয়েছেন প্যান্ডেল হপিং-এ, পায়ে পায়ে তারা হেঁটে দেখছেন। দক্ষিণ কলকাতায় এবার থিমের জোরদার লড়াই। কলেজ পড়ুয়ারাও বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দর্শনে। শহরের সব রাস্তা মিশছে শ্রীভূমিতে, সকলের উইশ লিস্টে টপ করছে শ্রীভূমি (shribhoomi)। কিন্তু বাসে ওঠা বেজায় বিপদের! সেখানেও থিক থিক করছে ভিড়। কন্ডাক্টররা হাঁক দিচ্ছেন, শ্রীভূমি, লেকটাউন, ভ্যাটিকান… মুহূর্তে ভিড়ে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বাস।
শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কড়া হাতে নেমে পড়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। উৎসবের মরশুমে শহরকে সচল রাখতে সচেষ্ট ট্রাফিক পুলিশ। রুবি মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত অটো চলাচল বিকেল চারটের পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গড়িয়াহাটের ব্রিজের নীচে পুলিশের কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকছেন। কিয়স্কে ফাস্ট এইড, পুজো গাইড, বৃদ্ধদের জন্য হুইল চেয়ার, অ্যাম্বুলেন্স, মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চাদের জন্য স্পেশাল ব্যাজের ব্যবস্থা। ওই ব্যাজে অভিভাবকের নাম ও ঠিকানা লিখে রাখা যাবে। পুলিশ আধিকারিকরা আশাবাদী, গোটা পুজোয় কলকাতার ট্রাফিক সচল থাকবে।
সল্টলেক অঞ্চলেও একই ছবি। বিভিন্ন মণ্ডপে (Puja Mandap) ঘুরছেন মানুষজন, আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে সল্টলেকের এফডি ব্লক। গ্রামের দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন মানুষ। মাঝিমাল্লার জীবনযাত্রা উঠে থিমে। মেলা বসে দ্বিতীয় ম্যাডক্স স্কোয়ার হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে মোটামুটি বেলা ১২টা থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়ে যাচ্ছে। যানজটের কবলেও পড়তে হচ্ছে। উল্টোডাঙা থেকে হাতিবাগান বা শোভাবাজার যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ওই রুটগুলিতে অটোচালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এমনিতে যেখানে উল্টোডাঙা থেকে আহিরিটোলা লঞ্চঘাটের ভাড়া ২০ টাকা, পুজোর আবহে সেই ভাড়াই কেউ ২৫ বা ৩০ টাকা নিচ্ছে।
অন্যদিকে, শঙ্কা বাড়াচ্ছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। যেকোনও মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে, সেই আশঙ্কায় সময় নষ্ট করতে চাইছেন না আম বাঙালি। পায়ে পায়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে বাঙালি।