ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলাকে দেশসেরা করতে উদ্যোগী রাজ্য, তৈরি হচ্ছে কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান
রাজ্যের লক্ষ্য বাংলায় শিল্পায়ন এবং বিনিয়োগ নিয়ে আসা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই শিল্পে বাংলাকে দেশ সেরা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতির জন্যে চলতি অর্থ বছরে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। যার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি নবান্নে রাজ্য স্তরের ব্যাঙ্কার্স কমিটি বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্ট অমিত মিত্র। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই বৈঠকেই চলতি অর্থবর্ষ ক্রেডিট লেন্ডিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র শিল্প প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বাবদ প্রদান করা হয়েছিল। বাকি তিন মাসে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট লেন্ডিং হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২০-২১ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ৮৭ হাজার কোটি টাকায় এবং ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট লেন্ডিং হয়েছিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ক্রেডিট লেন্ডিং প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে উজ্জীবিত করবে। কাজের পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রশাসনিক স্তরে শোনা যাচ্ছে, ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রায় মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৪ শতাংশ ঋণ মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের এখনও অর্ধেক সময় বাকি রয়েছে। ফলে লক্ষ্য পূরণ হবে বলেই আশাবাদী রাজ্যের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিরা। এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র শিল্পে দেশের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা।