কেমন হয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়?
পোড়ার দেশে সবার পাতে দুবেলা আহার জোটে না! সেখানে কেবল একজনকে নিরাপত্তা দিতেই দৈনিক দেড় কোটির টাকারও বেশি খরচ করে ভারত সরকার! তিনি আর কেউ নন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে থাকেন তিনি। তার নিরাপত্তার বহর দেখলে চমকে উঠবেন। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ, এসপিজি নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
কেমন হয় মোদীর কনভয়? কনভয়ের প্রথম গাড়িতে থাকেন দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা কর্মীরা। সেই গাড়িতে সাইরেন থাকে। তারপরেই থাকে এসপিজির গাড়ি। তারপর আরও দু’টি গাড়ি এবং এরপরেও বাম দিক ডান দিক মিলিয়ে থাকে আরও দু’টি গাড়ি। মধ্যিখানে থাকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি। ফলে কেউ সহজেই প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কাছাকাছি চলে আসতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় ১ হাজার জনেরও বেশি কমান্ডো নিয়ে এসপিজির বিশেষ নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘিরে থাকেন এসপিজি কমান্ডোরা। ভাল করে যাচাই করে এই কমান্ডোদের নিয়োগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন জনসমক্ষে হাঁটেন, তখন তার পাশে সাদা পোশাকে এনএসজি কমান্ডোরা থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর দ্বিতীয় সারিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজিরা থাকেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর তৃতীয় সারিতে। চার নম্বর সারিতে থাকে রাজ্যের পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী যখন যে রাজ্যে যান, সেই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা ওই চার নম্বর সারিতে থাকেন। নিরাপত্তা বেষ্টনীর পঞ্চম সারিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গাড়ি থাকে। রাসায়নিক ও জৈবিক হামলাসহ যেকোন ধরণের হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম এই গাড়িগুলি।
বুলেটপ্রুফ বিএমডব্লিউ ৭ গাড়িতে চড়েন মোদী। হামলাকারীদের চোখে ধুলো দিতে একই রকম দেখতে আরও দু’টি গাড়ি থাকে মোদীর কনভয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে জ্যামার লাগানো বিশেষ গাড়িও থাকে। যা প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে ১০০ মিটারের মধ্যে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্যে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়।
এই এলাহি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যে খরচ হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য বলছে, মোদীর নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন ১.৬২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এসপিজি নিরাপত্তার জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫৯২.৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।