কৃত্রিম ভাবেই নিরঞ্জন শহরের একাধিক নামজাদা ক্লাবের দূর্গা প্রতিমার
গত বছর দুয়েক করোনাকালে গঙ্গায় ভাসান এড়াতে কৃত্রিম উপায়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থ্যা হয়েছিল শহরের কিছু নামকরা পূজা প্যান্ডেলে। এ ব্যাপারে প্রথম শহরের বুকে এধরণের নিরঞ্জন চোখে পড়ে দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারায়। তারপর সেই পথে হাঁটে অন্যানরাও। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দক্ষিণ কলকাতার রাজডাঙা নবোদয় সঙ্ঘের পুজোর থিমে ছিল দূষণ রোধের বার্তা। তাদের প্রতিমার উচ্চতাও ৩১ ফুট, যা কলকাতার রাস্তায় পরিক্রমা করিয়ে গঙ্গায় ভাসানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করল তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মণ্ডপের কাছে তৈরী করা ২০০ বর্গফুটের কৃত্রিম জলাধারে ক্রেন দিয়ে এক এক করে প্রতিমা সেখানে বসিয়ে হোস পাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে ঠাকুরের রং-মাটি গলানো হয়েছে। তারপর কাঠামো অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুধু রাজডাঙা নবোদয় সঙ্ঘ নয়, টালা প্রত্যয়ও একইভাবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে প্রতিমা নিরঞ্জন করেছে। তবে মানুষের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে ভাসানে খুব একটা আগ্রহ নেই বলেই অভিমত মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। তবুও কৃত্রিম উপায়ে প্রতিমা ভাসানের জন্য বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে একটি ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা।
পুরসভার সূত্রের খবর, গত তিনদিনে অর্থাৎ দশমী, একাদশী এবং দ্বাদশী মিলিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিমা গঙ্গায় নিরঞ্জন করা হয়েছে।