আমির খান আবারও হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের মুখে
‘লাল সিং চাড্ডা’র পর ফের হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের মুখে আমির খান। সম্প্রতি একটি স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপন করেছেন আমির খান এবং কিয়ারা আদবানি। সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে হই চই শুরু হয়েছে।
এই বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে, আমির খান এবং কিয়ারা আদবানি বিয়ে করে আসছেন। গাড়িতে তারা হাসিমুখে আলোচনা করছেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি আসার সময়ে দু’জনের কেউই কাঁদলেন না। পরে দেখা যাচ্ছে, নববধূ শ্বশুর বাড়ি যাননি। উলটে জামাই তার শ্বশুর বাড়ি এসেছেন। বিজ্ঞাপনে কিয়ারার বাবা পঙ্গু। সেখানে আমির খান ঘর জামাই হয়ে আসছেন। ঘরে প্রবেশের রীতির বিপরীত হিসাবে দেখানো হয়েছে আমির খান আগে ঢুকছেন। সেটিকে পরে ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে জুড়ে বলা হচ্ছে সব পরম্পরা রক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আর এই বিষয়টিই নাকি হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছে।
আমির খানের ধর্মী পরিচয় তুলেও আক্রমণ শুরু করা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও আমির খানকে আক্রমণ করতে নেমে পড়েছেন। এবিষয়ে তিনি টুইটও করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় আবেগে আঘাত লাগে এমন বিজ্ঞাপন এবং অভিনয় থেকে আমির খানের দূরে থাকা উচিৎ। ভারতের পরম্পরা এবং রীতি মাথায় রাখা উচিৎ আমির খানের।
বিজেপি’র আইটি সেলের উদ্যোগে সংগঠিতভাবে সামাজিক মাধ্যমে আমির খানকে ট্রোল করা হচ্ছে। ‘রং নাম্বার’ ছবির পরে দেশে অসহিষ্ণুতা নিয়ে একটি টিভি শো-য়ে আমির খানের বক্তব্যের পরেই হিন্দুত্ববাদী বাহিনী সংগঠিতভাবে তার উপরে আক্রমণ শুরু করে। তারপর দীর্ঘ ৬ বছরে বলিউডের খান ত্রয়ীর বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষ জাগিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা বেশ খানিকটা জনমত গড়ে তুলেছে।
এই বছরের আগস্টে, হৃতিক রোশন অভিনিত Zomato-এর বিজ্ঞাপন নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতরা এই বিজ্ঞাপনে আপত্তি জানিয়েছিলেন, দাবি করেছিলেন এই বিজ্ঞাপণটি হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এর পরে ওই অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাটি এই বিজ্ঞাপণটি প্রত্যাহার করে নেয়৷ এই মহাকালেশ্বর মন্দিরেই রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের উপর চড়াও হয়েছিল হিন্দুত্ববাদীরা।