২০২৪-এর নির্বাচনের আগে জোরালো প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, দলীয় পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে চিন্তায় বিজেপি
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘোর দুশ্চিন্তায় গেরুয়া শিবির। হাতে মাত্র দেড় বছর। কিন্তু এর মধ্যেই দলের পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে কপালে ভাঁজ জেপি নাড্ডা, অমিত শাহদের। দলীয় পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দল কেন্দ্রে দু’দফায় ক্ষমতায় থাকার পর দেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধী প্রবল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনে চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
ফলে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে যাবতীয় নির্বাচনী কৌশল তৈরির কাজ শুরু করে দিল বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীকেই মুখ করেই প্রচারের ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া আসনগুলিতে মোট ৪০ টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার তিনটি কেন্দ্রও। আগামী বছর দু’দফায় বাংলায় আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরকালে তিনি তিনটি সভা করবেন। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গে একটি এবং দক্ষিণবঙ্গে দুটি বড় সভা রয়েছে।
সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে আগামী বিধানসভা ও লোকসভার ভোটের প্রচার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দু’টি বৈঠকে দেশের ১৪৪টি হারা ও দুর্বল আসন চিহ্নিত করে প্রচারের পরিকল্পনা হয় বলে সূত্রের খবর। দেশ জুড়ে মোট ১৪৪ টি বড় সভার মধ্যে চল্লিশটি প্রধানমন্ত্রী করবেন এবং বাকি ১০৪ টি তে হাজির হবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ বিজেপি’র অন্যান্য হেভিওয়েট নেতারা।
আগামী এক বছরে গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিটি রাজ্যেই প্রচার করবেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটে ইতিমধ্যেই তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। গুজরাটেও এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বেশ জোরালো। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যগুলির ফলাফল যথেষ্ঠই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি নেতৃত্ব।