জানেন কী কলকাতার এই পাঁচটি কালী মন্দিরকে বলা হয় জাগ্রত? কোনগুলো?

কলকাতায় অনেক কালী মন্দির আছে যেখানে বহু বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে, পূরণ হয়ে আসছে ভক্তদের মনস্কামনা।

October 24, 2022 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

আদ্যাশক্তি শ্যামা মা শক্তিরূপের প্রতীক। বাংলায় সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত পুজো হল শ্যামা বা কালীঠাকুর। কলকাতায় অনেক কালী মন্দির আছে যেখানে বহু বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে, পূরণ হয়ে আসছে ভক্তদের মনস্কামনা।

সেইরকম ৫টি কালী মন্দির হল-

কালীঘাটের কালী মন্দির, ফাইল চিত্র

১. কালীঘাটের কালী (Kalighat Temple)

কালীঘাট মন্দিরের বয়স ২০০ বছর। এটি একটি জাগ্রত সতী পিঠ। কথিত আছে পুরাকালে এই কালীঘাটে মা কালীর চারটি অঙ্গুলি পড়েছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে এই মন্দিরের গুরুত্ব বাড়ে। প্রতিদিন এই মন্দিরে অসংখ্য দর্শনার্থীরা মনস্কামনা পূর্নের আশায় আসেন। এখানে মোট ৮টি মূল পুজো প্রচলিত। কালীপুজোর রাতে দেবীকে এখানে লক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয়।

প্রচলিত মতানুসারে, যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের খুল্লতাত শ্রী বসন্ত রায় কালীঘাটে মন্দিরটি স্থাপন করেন। ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী ছিলেন তৎকালীন সময় দেবীর সেবায়েত। তিনি অপূত্রক থাকায় মনে করা হয় তার দৌহিত্র হালদাররা বর্তমানে কালীঘাট এর নির্মাতার বংশ।

দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির, ফেসবুক

২) দক্ষিণেশ্বরের কালী (Dakshineswar Kali Mandir)

এই মন্দিরের স্থাপন করেন রানী রাসমণি। কথিত আছে রাণীমার কাশি যাত্রার আগের ভোররাতে মা জগদম্বার স্বপ্নাদেশ পান। “কাশী যাওয়ার দরকার নেই। গঙ্গাতীরে একটি নয়নাভিরাম মন্দিরে আমার মূর্তি প্রতিষ্ঠা কর…” এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মে স্নান যাত্রার দিনে গঙ্গার পূর্ববর্তী তীরে মন্দির স্থাপন করেন তিনি। কলকাতা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির।

ঠনঠনিয়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, ছবি সৌজন্যেঃ ফেসবুক/Amlan Basu

৩) ঠনঠনিয়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী (Thanthania Siddheswari Kali Temple)

আনুমানিক ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে উদনারায়ন ব্রহ্মচারী নামক এক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে মা কালীর এই সিদ্ধেশ্বরী রূপের কালীমূর্তি গড়েন। ১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরের ভারও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এখানে আদি কালী ছাড়াও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিনী ও মাঘ মাসে রটন্তী কালী পুজো করা হয়। অমাবস্যা তিথিতে এখানে অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটে।

সিদ্ধেশ্বরী বামা কালী মন্দির, ছবি সৌজন্যেঃ salilhore.wordpress

৪) সিদ্ধেশ্বরী বামা কালী (Siddheswari Bama Kali Temple)

আড়াইশো বছর আগে বেহালার বরিশায় স্থাপিত হয় দেবী সিদ্ধেশ্বরীর এই মন্দির। বর্তমান বেহালা অতীতে সুন্দরবনের অংশ ছিল। কথিত আছে লক্ষিন্দরের স্ত্রী বেহুলার নাম থেকে জায়গাটির নামকরণ হয় বেহালা। বহুলা মা কালীর আরেকটি রূপ। এই জায়গার জাগ্রত কালিবাড়ি হলো সিদ্ধেশ্বরী মন্দির।

কাশিপুর আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দির, ছবি সৌজন্যেঃ টেলিগ্রাফ

৫) কাশিপুর আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা (Chitteswari Durga Temple)

কাশিপুর আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা। প্রায় ৫০০ বছর আগে এই দেবীর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই দেবী নিমকাঠ দিয়ে তৈরি। কথিত আছে চিত্রেশ্বর রায় ছিলেন একজন ডাকাত। তিনি ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে ষোড়শোপচারে দেবীর পুজো করতেন। এই দেবীর নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম হয় চিৎপুর। পরবর্তীকালে জমিদার গোবিন্দরাম মিত্র মন্দিরটি পুনঃনির্মান করেছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen