বঙ্গের ডাকাত কালীদের কথা
কালী পুজো বলতেই ডাকাতিদের কথা চলে আসে। এক সময়ে রাতের অন্ধকারে ডাকাতদের গোপন ডেরায় চলত মা কালীর আরাধনা। কালী পুজো করে, মায়ের আশীর্বাদ নিয়েই ডাকাতরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওনা দিত ডাকাতেরা। আজ ডাকাতদের দিন শেষ হয়েছে। তবে বাংলাজুড়ে আজও রয়ে গিয়েছে ডাকাতদের কালী মন্দির।
গগন ডাকাতের পুজো:
সিঙ্গুরে রয়েছে এই বিখ্যাত কালী মন্দির। প্রাক স্বাধীনতা যুগে ওই অঞ্চলের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন গগন ডাকাত। শোনা যায়, এক সন্ধ্যায় সারদা মা গগন ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন। তখনই নাকি গগন ডাকাত সারদা মায়ের মধ্যে মা কালীকে দেখতে পান। তিনিই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
রঘু ডাকাতের পুজো:
ডাকাতদের দুনিয়ার রাজা হলেন রঘু ডাকাত। হুগলীর বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলের ত্রাস ছিলেন রঘু ডাকাত। তিনি ছিলেন কালীভক্ত। তিনিই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। রঘু ডাকাতের হাতেই বাসুদেবপুরে মা কালী ও ত্রিবেণীতে ডাকাত কালীর পুজো শুরু। শোনা যায়, রঘু ডাকাত নাকি রোজ মাকে পোড়া ল্যাটা মাছ মাকে নিবেদন করতেন।
কেলে ডাকাতের কালী পুজো:
হুগলির জিরাটের কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কেলে ডাকাত। শোনা যায়, ওই এলাকার জমিদার কালিচাঁদ নাকি রাতে মায়ের পুজো করে ডাকাতি করতে বেরোতেন। তিনিই কেলে ডাকাত নামে পরিচিত।
প্রহ্লাদ ডাকাতের কালী পুজো:
পূর্ব বর্ধমানের পাণ্ডুক গ্রামে ডাকাত সর্দার প্রহ্লাদ বামা কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আউশ গ্রামের কালী পুজো:
এককালে বর্ধমানের আউশ গ্রাম ও তার আশপাশের গ্রামের লোকজন মেটে পাড়ার ডাকাতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় জমিদারেরা একজোট হয়ে ডাকাত দলের উপরে পাল্টা হামলা করেন। মা কালী তাঁদের রক্ষা করেন। এরপরেই কালী পুজোর প্রচলন হয়।