ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, কালীপুজোর পরদিন, আর্থাৎ ২৫ অক্টোবর বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য গতিপথ বাংলাদেশ উপকূল। তবে আলিপুর আবহাওয়া জানাচ্ছেন, বাংলার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে থাকাকালীন সিত্রাং এ রাজ্যে ভালোই প্রভাব ফেলবে। উপকূলবর্তী ৩ জেলা ও দক্ষিণবঙ্গ প্রভাব সর্বাধিক হবে। দুই ২৪ পরগনায় ও পূর্ব মেদিনীপুরে কমলা সর্তকবার্তা জারি করা হচ্ছে। উপকূলের তিন জেলায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। সোমবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলায় সোমবার হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি থাকতে পারে। মঙ্গলবার তা বেড়ে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৫৫ কিমি হতে পারে। সেই মতো করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
সাইক্লোনের প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক সেরে ফেলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এড়াতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সল্টলেকের বিদ্যুৎভবনে দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ দপ্তরে সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলেই জানান দপ্তরের মন্ত্রী। রাজ্যে ৬৯ হাজার ৮১৭ জন এবং কলকাতায় ৫ হাজার কর্মী মোতায়েন থাকছে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বৈঠক করেছেন। বাঁধের ফাটল নিয়ে সেচদপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সাগরসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশ মিলিয়ে এনডিআরএফের মোট ১৩টি দল থাকছে। প্রায় ৫০০টি সাইক্লোন ও রেসকিউ শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।