ভাঁড়ারে আসেনি কাঙ্খিত অঙ্কের টাকা, ‘বেচুগিরি’ জারিই রাখছে মোদী সরকার
লক্ষ্যপূরণ হয়নি, তাই জারি থাকবে বেসরকারীকরণ (privatization)। মোদী সরকারের ঘোষিতআর্থিক নীতি হল বেসরকারীকরণ, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক সেল। ‘সব বেচে দে সরকার’-এর দুটি নীতি, হয় এয়ার ইন্ডিয়ার মতো পুরো সংস্থাই বিক্রি, নতুবা এলআইসির মতো অংশ বিশেষ বিক্রি করে দেওয়া। মোদী আমলে দেশে নতুন করে একটিও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তৈরি হয়নি। অন্যদিকে, ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিক্রির পরিমাণ। শোনা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে ৬৫ হাজার কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু লক্ষ্যপূরণ হয়নি, খবর মিলেছে; এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার কোটি টাকা এসেছে মোদী সরকারের কোষাগারে। তাই টার্গেট পূরণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। আর কোন কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নাকি আলোচনা শুরু করেছে মোদী সরকার (Modi Govt), এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
আপাতত খবর মিলেছে, রেলের উপর প্রথম কোপ পড়তে চলেছে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড, রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসেস লিমিটেডের মতো তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আরও কিছু অংশ বিক্রি করতে পারে মোদী সরকার। নীতি আয়োগ এবং রেলমন্ত্রকের সঙ্গে এই মর্মে নাকি আলোচনাও হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাজেটে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, আইআরসিটিসির আরও অংশীদারি ছেড়ে দিতে পারে সরকার। এক দফা আলোচনাও নাকি হয়েছে আইআরসিটিসি নিয়ে।
রেলের অধীনে থাকা অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির হালহকিকতের বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে নীতি আয়োগ। সংস্থাগুলির বর্তমান অবস্থান জেনেই হয়ত বিক্রির পথে এগোবে মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, মুম্বই রেল বিকাশ কর্পোরেশন, কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এখনও শেয়ার বাজারের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার এই তিন সংস্থাকেও বিক্রির বাজারে তুলতে চলেছেন মোদী।