ঘুরে আসুন নির্জনতা ঘেরা ইচ্ছে গাঁও
রাত্রি হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে মতো তাঁবু খাটিয়ে এখানে রাত্রিবাস করেন। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় ইচ্ছে গাঁ
পাহাড়ের কোলে একটি সবুজ ছোট্ট গ্রাম ইচ্ছে গাঁও। এ যেন এক স্বর্গ। হাতের বাড়ালেই ছুঁতে পারবেন মেঘ। লেপচা ভাষায় ইচ্ছে গাঁও-এর অর্থ– সবার উঁচুতে অবস্থিত গ্রাম। সন্ধে হলে চারিদিকে আলো জ্বলে ওঠে। তখন চমৎকার দেখায় গ্রামটিকে। রঙ বেরঙের ফুল আপনাকে মুগ্ধ করে দবে।
শান্ত-নির্জন পরিবেশের জন্য এই জায়গাটি এখন বেশ জনপ্রিয়। শোনা যায়, অনেক বছর আগে বনবিভাগের কয়েকজন কর্মী এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাত্রি হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে মতো তাঁবু খাটিয়ে এখানে রাত্রিবাস করেন। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় ইচ্ছে গাঁ

নির্জানতা প্রেমীদের কাছে ইচ্ছে গাঁও ছুটি কাটানোর সেরা জায়গা হয়ে উঠেছে। এখানে উপভোগ করতে পারবেন অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ। এই গ্রামে বসবাস করেন মাত্র ৩০০ জন মানুষ। বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে পর্যটকদের থাকার জন্য হোম স্টে। এখানে থাকা ও খাওয়ার খরচ বেশি নয়, প্রতিদিন ১০০০ টাকা জনপ্রতি।
কিভাবে যাবেন
যাওয়ার পথ সহজ। শিয়ালদা থেকে রাত ৮ টা বেজে ৩০ মিনিটের কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে চেপে পরদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামুন। স্টেশনের বাইরেই মিলবে ভাড়া গাড়ি। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে পৌঁছে যান ইচ্ছে গাঁওয়ে। হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন সিলারি গাঁও।