ধুকছে গ্রামীণ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ডাহা ফেল মোদী সরকার

আর্থিক ব্যয় মাত্রা ছাড়ানোয় অনেকেই গ্রামে ফিরছেন। শহর থেকে ফেরার প্রবণতা বাড়তেই একশো দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছে।

October 26, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভারতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হল গ্রাম, গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি যত সুদৃঢ় হয়েছে, জিডিপি (GDP) বৃদ্ধিহারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ছবিটা এক। কিন্তু মোদী জমানায় গ্রামীণ আর্থিক ব্যবস্থা (Rural Economy) ক্রমশ সঙ্কটের মুখে চলে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি জেরে নাজেহাল আম জনতা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাঁটাই, মজুরি কমে যাওয়া।

করোনাজনিত লকডাউনের কারণে শহর থেকে দলে দলে মানুষ গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। প্রায় দেড় বছর লেগে গিয়েছিল, সেই পরিস্থিতির বদল হতে। কিন্তু বিগত তিন মাস ধরে ছবিটা ফের বদলে গেল, কাজের খোঁজে গ্রামের মানুষ শহরে যাওয়ার বদলে, শহর থেকে গ্রামীণ মানুষ ক্রমেই ফিরছেন। এই প্রবণতায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে মোদী সরকার (Modi Government)। মূল্যবৃদ্ধি আর তার দোসর হয়েছে ছাঁটাই, মজুরি কমে যাওয়া, সেই কারণে শহর থেকে ফিরছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সর্বত্র, শহরাঞ্চলে শ্রমিকদের কাজের মজুরি কমছে, ছাঁটাই বাড়ছে। আর্থিক ব্যয় মাত্রা ছাড়ানোয় অনেকেই গ্রামে ফিরছেন। শহর থেকে ফেরার প্রবণতা বাড়তেই একশো দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, বিগত আগস্ট থেকেই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছিল, গত দু’মাসে প্রায় ১০ শতাংশ আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্টে একশো দিনের কাজে আবেদনকারী পরিবারের সংখ্যা ছিল দেড় কোটিরও বেশি। সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটা ১ কোটি ৬২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে যা আবেদন এসেছে তাতে মনে করা হচ্ছে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। কাজের অভাবই এর নেপথ্য কারণ। এত কাজ দিতে গেলে মোদী সরকারের কোষাগারে টান পড়বে; এই আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন অর্থমন্ত্রক।

সেই সঙ্গেই আরও এক ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, মহিলা ও অপেক্ষাকৃত তরুণ সমাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি করে শ্রমিক হিসেবে যোগ দিচ্ছে। যা প্রমাণ করছে, পরিবারের কর্তার রোজগারে টান পড়ছে। তাই সংসারের চাকা সচল রাখতে অন্যান্য সদস্যদের এগিয়ে আসতে হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। লাগাতার বাড়তে থাকা ১০০ দিনের কাজের আবেদন পূরণ করতে হলে একশো দিনের কাজে সরকারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কিন্তু মোদী সরকার সে পরিস্থিতিতে নেই। ফলত সৃষ্টি হবে না কর্মসংস্থান। থমকে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধিহার। যা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen