Social media-গুলির নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করতেই কি IT আইনে সংশোধন আনল মোদী সরকার?
শুক্রবার দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনে সংশোধনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ভারতে ব্যবসা করা সবকটি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর এই আইন প্রযোজ্য হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর থেকেই সংশোধন কার্যকর হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে দেশের জনগণকে উৎসাহ দিলেও বড় বড় টেক কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিজেপি সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। বরং সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন রয়েছে। এখন তথ্য প্রযুক্তি আইনে সংশোধন এনে বড় টেক সংস্থাগুলির উপর লাগাম পরাতে চলেছে কেন্দ্র। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট মডারেশন-এর বিষয়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ শোনার জন্য সরকারি প্যানেল বসাবে মন্ত্রক।
নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ফার্মে অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য আধিকারিক থাকা প্রয়োজন এবং পদস্থ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাও থাকা দরকার, যিনি আইন প্রণেতাদের সঙ্গে সমন্বয়সাধণ করবেন যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে নতুন সংশোধন করা ফলে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া চালানো সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগটি নিতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে, অথবা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ এলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটার-এর মতো সংস্থাগুলির উপর নিয়মের কড়াকড়ি দিনদিন আরও শক্ত করেছে এবং করছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া কন্টেট নিয়ে টেক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। কেন না অনেক সময়তেই তাদেরকে কোনও নির্দিষ্ট পোস্ট সরানোর অনুরোধ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট টেক সংস্থাগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্ট তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতেও হয় বাধ্য হয়। নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইনে সংশোধন এনে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটার-এর মতো সংস্থাগুলির উপর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্র বজায় রাখতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে সংশোধন আনাকে বিজেপি’র কৌশল বলে মনে করছে। যাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটারকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে পারে এবং বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতে পারে।