উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি’র বঙ্গভঙ্গের লাগাতার প্রচারে ত্রস্ত উত্তরবঙ্গের মানুষ

November 5, 2022 | 2 min read

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এমনভাবে প্রচার চালিয়েছিল যেন তাদের ‘বাংলা দখল’ কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে দেখাগেল এত কিছু করা সত্ত্বেও বিজেপি’র বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। এরপর থেকে অমিত শাহদের যেন জেদ চেপে গিয়েছে। বাংলা এবং বাঙালিদের যেনতেন প্রকারে ‘টাইট’ দিতে হবে। লাগাতার বাংলা, বাঙালি বিরোধী চোরাগোপ্তা প্রচার, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। যেমন তারা নিয়মিতভাবে বঙ্গভঙ্গের কথা বলে চলেছে। গোটা উত্তরবঙ্গ, বিহারের দুই এবং নিম্ন অসমের একটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রের মোদী সরকার যে অবিচল তা তারা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। লাগাতার প্রচার চলছে, আগামী এপ্রিলেই দু’টুকরো হয়ে যাবে বাংলা।


যেমন, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ভেটাগুড়ির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ। প্রায় ঘণ্টাখানেক দু’জনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। একদিকে যখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন, ঠিক সেই সময় তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে দেখা করার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা করে অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। পজিটিভ আলোচনা হয়েছে।‘ উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।


আগামী এপ্রিলেই দু’টুকরো হয়ে যাবে বাংলা! পাড়ায় পাড়ায় কানাঘুষোর পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমের এই প্রচারে সন্ত্রস্ত উত্তরের জেলাগুলির মানুষ থেকে সরকারি কর্মীরা।


এহেন গুজব ছড়ানো এবং উস্কানির নেপথ্যে কারা রয়েছে? সেই সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ে নেমে পড়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর। বাংলাকে ভাগ তিনি করতে দেবেন না—এমন প্রত্যয়ী বার্তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অক্টোবরের মাঝামাঝি শিলিগুড়িতে দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তাঁর বার্তা ছিল, অখণ্ড বাংলায় ঐক্য ও সম্প্রীতি নিয়ে মানুষ আছে, ছিল এবং থাকবে।


শাসক দল এবং গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গেরুয়া শিবিরের তরফে ছড়ানো এই গুজবকে সাধারণ মানুষের কাছে ‘প্রতিষ্ঠিত’ করার দায়িত্বও নিয়েছেন অনেকে। এই বিষয়ে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি, কেএলওর বর্তমান জঙ্গিদের মাথা জীবন সিং, প্রাক্তন জঙ্গিদের নতুন সংগঠন ‘বাহাদুর কৃষক মঞ্চ’, পাহাড়ের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা অনন্ত মহারাজ সর্বাগ্রে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #BJP West Bengal

আরো দেখুন