টিভিসির নির্দেশ মানলেই পুনর্বাসন, আজ থেকে শুরু হকার সমীক্ষা
২০১৫ সালের হকার তালিকা নিয়ে আজ থেকে শহরে শুরু হল হকার সমীক্ষা। টাউন ভেন্ডিং কমিটির নির্দেশ মানলেই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। গড়িয়াহাট মার্কেট এবং থানা এলাকায় আজ অভিযান চলে। স্পষ্ট বলা হচ্ছে, কোনভাবেই আর রাস্তায় বসা চলবে না। ফুটপাতেও নির্দিষ্ট অংশে দোকান চালাতে হবে। রাস্তায় বসে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হবে। যারা হকার তালিকাভুক্ত নন, তারা নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন।
মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় টিভিসির বৈঠক হয়। গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট এবং শ্যামপুকুর থানার পুলিশ আধিকারিক ও কমিটির অন্য প্রতিনিধিরা সেখানে হাজির ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মাইকিং করা হবে। পাশাপাশি লিফলেটও চলবে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষা চলে। বলা হচ্ছে, ফুটপাতে হকার জোন, রাস্তায় পার্কিং জোন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ব্ল্যাক টপ ফুটপাত লাগোয়া রাস্তা দখল করে বসা যাবে না। ফুটপাতের এক-তৃতীয়াংশ জায়গাতেই হকারদের বসতে হবে। রাস্তার দিকে মুখ করা দোকান বা স্টলের মুখ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে হবে। প্লাস্টিকের ছাউনির বদলে দোকানে ছাতা বা বিকল্প কিছু লাগাতে হবে।
গড়িয়াহাটেরপর হাতিবাগান ও নিউ মার্কেট এলাকায় সমীক্ষা হবে। তিন এলাকায় হকার আইন বলবৎ হলেই বোঝা যাবে, কোথায় কী সমস্যা আছে। রাস্তায় বসা হকারদের অন্যত্র সরানো হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গড়িয়াহাট অঞ্চলে নথিভুক্ত হকার সংখ্যা ছিল ৪০০। তা বেড়ে প্রায় ১৭০০ হয়েও গিয়েছে। সে সময় গোটা শহরে ৫৮ হাজার হকার নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে হচ্ছে। এখন দেখার পুনর্বাসনের বিষয়ে কীভাবে বাস্তবায়িত করে প্রশাসন।