নারায়ণ দেবনাথের সই নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড পাঠকদের
বাংলা কমিকসের জীবন্ত বিস্ময় নারায়ণ দেবনাথ। হাঁদাভোঁদা, বাঁটুল ইতিমধ্যেই অর্ধ শতাব্দী অতিক্রান্ত করেছে, এ বার পালা নন্টে ফন্টের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি কিশোরপাঠ্য পত্রিকায় প্রকাশ পায় দুই কিশোর বন্ধু নন্টে আর ফন্টের কাণ্ডকারখানা। দীপ প্রকাশনের উদ্যোগে নন্টে ফন্টের প্রথম প্রকাশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ সংগ্রাহক সঙ্কলন ‘নন্টে ফন্টে সোনায় সোহাগা’ সম্প্রতি প্রকাশ পেল।
কিন্তু বাঙালির নস্টালজিয়া যাপনে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে একটি বিতর্কের কারণে। ‘নন্টে ফন্টে সোনায় সোহাগা’ বইটি প্রি-বুকিং এর সময় প্রকাশক ও রিটেলার সংস্থার তরফে জানানো হয় যে বইটি যারা প্রি-বুকিং করবেন তারা লেখকের স্বাক্ষরিত কপি পাবেন। স্বভাবতই অনেকে আশায় বুক বেঁধে বইটি অর্ডার করেন। কিন্তু কপি হাতে পাওয়ার পর তাদের অভিযোগ সইটি আসলে ফ্যাক্সিমিলি, অরিজিনাল নয়। স্বপ্নভঙ্গ ও অভিমানে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
পাঠকদের নিয়ে তৈরী বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাঠকরা। ইতিমধ্যেই ‘বইপোকা’ বলে একটি গ্রুপে দীপ প্রকাশনকে ব্ল্যাকলিস্টও করা হয়েছে। সকলের একটাই অভিযোগ, নারায়ণ দেবনাথের বই মানুষ কোনও প্রলোভন ছাড়াই কিনতেন, ফ্যাক্সিমিলি সইয়ের কথা আগেভাগে জানিয়ে দিলে পাঠক প্রতারিত বোধ করতেন না। প্রকাশকের তরফে জানানো হয়েছে অশীতিপর লেখকের পক্ষে হাজার হাজার কপি সই করা সম্ভব না, তাই এই পন্থা। তবে ক্ষোভ প্রশমন করতে টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, স্মারক সঙ্কলনটিতে রয়েছে মূল সাদাকালোয় ছাপা প্রথম নন্টে ফন্টে, প্রথম সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যারের আবির্ভাব, প্রথম কেল্টুদা কমিকস-সহ, হারিয়ে যাওয়া নন্টে ফন্টের মূল প্রচ্ছদগুলি, ‘জাগৃতি’ সিনেমার দৃশ্যের অনুপ্রেরণায় তৈরি কমিকস প্যানেল, পৃথক কাহিনিচিত্রে নন্টে ফন্টের ক্যামিয়ো প্রবেশ-সহ (অতিথি চরিত্র হিসাবে উপস্থিতি) বেশ কিছু নির্বাচিত সেরা কমিকস। ভূমিকা লিখেছেন কমিকস অনুরাগী সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায়। প্রচ্ছদ বিল্টু দে। সঙ্গের ছবিতে নারায়ণ দেবনাথ।