বিমল রায় – বাস্তবধর্মী হিন্দি ছবির জনক

বম্বে যাওয়ার দুবছরের মধ্যে ১৯৫২-তে তিনি পরিচালনা করেন ‘মা’

July 12, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

সমাজতন্ত্রী থিম এবং বাস্তব প্রয়োগ – বিমল রায় মনে করতেন মানুষের সংঘর্ষের কথা তুলে ধরতে সিনেমার বিকল্প নেই। ইটালির নিও রিয়েলিস্ট আন্দোলনের ধাঁচে তিনি তৈরী করেন ‘দো বিঘা জমিন’, ‘পরিণীতা’, ‘দেবদাস’, ‘মধুমতী’ ও ‘বন্দিনী’। 

বিমল রায় ১৯০৯ সালে বাংলাদেশের এ জমিদার পরিবারে জন্মান। ছাত্রাবস্থায় পিতাহারা হন। বন্ধুর পরামর্শে কলকাতা আসেন। এখানে তিনি চিত্রজগতে জগ দেন। তার ফটো তলায় আগ্রহ ছিল। ক্যামেরা সহকারী হিসেবে নিউ থিয়েটারে যোগ দেন। প্রমথেশ বড়ুয়ার সঙ্গে কাজ করেন।

প্রথম পরিচালনা করেন উদয়ের পথে। এই ছবি সফল না হওয়ায় তিনি বম্বে পাড়ি দেন। তার দলে আর অনেক পরবর্তীকালের স্বনামধন্যরা ছিলেন যেমন হৃষীকেশ মুখার্জি, নব্যেন্দু ঘোষ, কমল বসু, অসিত সেন ও পরে সলিল চৌধুরী।  বম্বে যাওয়ার দুবছরের মধ্যে ১৯৫২-তে তিনি পরিচালনা করেন ‘মা’।

১৯৫৩ তে তিনি নিজের প্রোডাকশন হাউজ খুলে ‘দো বিঘা জমিন’ তৈরী করেন। এই সিনেমা অনেক বিদেশী পুরষ্কার পায়। ‘পরিণীতা’, ‘বিরাজ বৌ’, ‘দেবদাস’, ‘মধুমতী’, ‘পরখ’, ‘প্রেমপত্র’, ‘বন্দিনী’ তে তিনি জটিল বিষয় নিয়ে কাজ করেন। 

ঋত্বিক ঘটকের লেখা থেকে তিনি তৈরী করেন ‘মধুমতী’। এই সিনেমায় অসামান্য কাজ করেন দিলীপ কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা। এই সিনেমা থেকে পরে করা হয় ১৯৮১ সালে ‘কর্জ’ ও ২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’।

শ্যাম বেনেগাল বলেছেন বিমল রায় তাঁর সিনেমায় মানুষকে মানুশ হিসেবেই দেখাতেন, লার্জার দ্যান লাইফ না। তাঁর কেরিয়ারের সফলতা ছিল মাত্র এক দশক কিন্তু তাঁর ছাপ হিন্দি সিনেমায় চিরকালের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen