লকডাউনের ধাক্কা, চূড়ান্ত অর্থকষ্টে ভুগছেন ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ
২০১৮ সালে তেলঙ্গানা থেকে একটি BMW 3 Series কিনেছিলেন ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ। গাড়ির দাম ৩০ লক্ষ টাকা। সেই গাড়িটিই এখন বিক্রি করতে চাইছেন দ্যুতি। কারণ এই লকডাউনের সময়ে তাঁর অলিম্পিকসের ট্রেনিং ঠিকঠাক হচ্ছে না। আর যার কারণ হিসেবে উঠে আসছে মূলত অর্থাভাবই। টাইমস নাও-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দ্যুতি বলছেন, “স্পনশরশিপের অভাবে আর কোনও প্রতিযোগিতা হচ্ছে না বলে অর্থ জোগাড়ের এটাই একমাত্র রাস্তা।”
দ্যুতির কথায়, “এই মহামারীর জন্য সব প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অলিম্পিক্সের কোনও স্পনসরশিপ এখন আর নেই। এত দিন ধরে যা টাকা উপার্জন করেছিলাম, এই কয়েক মাসে তার পুরোটাই খরচ করে ফেলেছি। এই মুহূর্তে আর কোনও স্পনসর আসবেন বলে মনে হচ্ছে না। এখন আমার গাড়িটাই বিক্রি করে দেওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে।”
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (AFI) নিয়ম অনুযায়ী এই মুহূর্তেই অনুশীলন শুরু করার পথে হাঁটছে না তারা। আর সেই কারণেই AFI-এর থেকে কোনও সাহায্যও পাচ্ছেন না দ্যুতি চাঁদ। ট্রেনিংয়ের জন্য তাঁর কাছে রাস্তা খোলা আছে কেবলই রাজ্য সরকার। আর স্পনসরাশিপ বলতে গেলে KIIT বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাঁদের দেওয়া অর্থও শেষ হয়ে গিয়েছে ট্রেনিংয়ের জন্যই। কারণ মহামারী না হলে ২৩ জুলাই, ২০২০ থেকেই শুরু হয়ে যেত অলিম্পিক্স।
দ্যুতির জীবনের প্রথম লাক্সারি গাড়ি এই BMW 3 Series। সাধের সেই গাড়িটিও চাপের মুখে বিক্রি করে দিতে হবে দ্যুতি চাঁদকে। ইতিমধ্যেই তিনি গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। তবে গাড়ি বিক্রি করতে হবে বলে এক ফোঁটাও ভেঙে পড়েননি দ্যুতি চাঁদ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের রূপোজয়ী
দ্যুতির কথায়, “না একদমই মন খারাপ করছি না। গাড়িটা কিনতে পেরেছিলাম বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে আগত অর্থের সাহায্যেই। এখন প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকলে কী আর করা যাবে। এই মহামারী একবার কেটে গেলে আবারও শুরু হবে প্রতিযোগিতা। আবার আমি অংশগ্রহণ করব, অর্থ উপার্জন করব আবার লাক্সারি নতুন গাড়িও কিনে ফেলব। তবে এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, অলিম্পিক্সের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা এবং ফোকাস করা।”