রাজার বেশে ফিরলেন মেসি, ছুঁয়ে ফেললেন পূর্বসূরি মারাদোনাকে
মরণবাঁচন লড়াইয়ে বারবার জ্বলে উঠে মেসি প্রমাণ করে দিয়েছেন মারাদোনা-উত্তর আর্জেন্টিনার লাইফলাইন তিনি। গতকালকেও তার ব্যতিক্রম হল না। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ৬৪ মিনিটে গোল করলেন লিয়োনেল মেসি। গোলের সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের রাশ হাতে নিল দি মারিয়ারা। শেষ ষোলোয় যাওয়ার লড়াইতে টিকে রইল আর্জেন্টিনা।
বাইশের বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ফেললেন মেসি। সেই সঙ্গেই তিনি ছুঁয়ে ফেললেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অবিসংবাদী নায়ক দিয়েগো মারাদোনাকে। বিশ্বকাপে ৮টি গোল রয়েছে মারাদোনার। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোলের সঙ্গে সঙ্গে মেসিও ৮টি গোল করে ফেললেন বিশ্বকাপে। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে মারাদোনা ২টি গোল করেছিলেন। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ৫ গোল করেন মারাদোনা। মারাদোনার নেতৃত্বে বিশ্বজয় করেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে, একটি বলও জালে জড়াতে পারেননি ফুটবলের রাজপুত্র। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ১টি গোল করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের মধ্যেই ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন, সেখানেই শেষ হয় বিশ্বকাপ যাত্রা। অন্যদিকে, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে মেসি ১টি গোল করেছিলেন। ২০১০ সালে একটিও গোল পাননি মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৪টি গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে মেসির পা থেকে এসেছিল ১টি গোল। এবারের বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই ২টি গোল করে ফেলেছেন মেসি। আরেকটি গোল করলেই মারাদোনাকে টপকে তিনিই হবেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
অন্যদিকে, এদিন রোনাল্ডোকেও ধরে ফেললেন লিও। পর্তুগালের তারকার গোল সংখ্যা ৮। যদিও মেসি এবং মারাদোনার চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। পাঁচ বিশ্বকাপ মিলিয়ে সিআর সেভেন ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে মেসি ও মারাদোনা দু-জনেই বিশ্বকাপে ২১টি করে ম্যাচ খেলেছেন। গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে আরেকটি রেকর্ড গড়তে চলেছেন মেসি। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামলে নীল-সাদা জার্সিতে ২২টি ম্যাচ খেলা হয়ে যাবে মেসির, আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার নজির গড়বেন লিও।