মাঝরাতে আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস, জেনে নিন হেড-টু-হেড কে এগিয়ে
দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা শুক্রবার (শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১২:৩০) ফিফা বিশ্বকাপে এই অধীরভাবে প্রতীক্ষিত কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে অপ্রত্যাশিত ১-২ হারের পরঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। তারা মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড, দুজনকেই ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ সি-এর শীর্ষে উঠেছিল। তারপর লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং রাউন্ড অফ ১৬-এ ২-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে।
আর্জেন্টিনা ২০২২ কাতারে দুটি গোল খেলেও সাতটি গোল করেছে। মেসি তিনটি গোল করে তাদের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
ডাচরা এখন পর্যন্ত অপরাজিত। ইকুয়েডরের সাথে ১-১ গোলে ড্র করার আগে তারা সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় দিয়ে তাদের অভিযান শুরু করে। লুই ভ্যান গালের দল কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ এ শীর্ষে ওঠে। এরপরে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়। এখন পর্যন্ত তারা আটটি গোল করেছে, যেখানে গোল খেয়েছে মাত্র দুটি। কোডি গ্যাকপো তিনটি গোল করে তাদের সর্বোচ্চ স্কোরার।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডেসের হেড টু হেড ৪-১ রেকর্ড রয়েছে, যেখানে চারটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ডাচরাও বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকানদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে, দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। যাইহোক, উল্লেখ্য যে ২০১৪-র বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা সেই ড্র খেলাগুলির একটিতে পেনাল্টির মাধ্যমে জয়লাভ করেছিল।
হেড টু হেড রেকর্ড
১. ২৬ মে, ১৯৭৪: নেদারল্যান্ডস ৪-১আর্জেন্টিনা (ফ্রেন্ডলি)
২. ২৬ জুন, ১৯৭৪: আর্জেন্টিনা ০-৪ নেদারল্যান্ডস (বিশ্বকাপ, দ্বিতীয় রাউন্ড, গ্রুপ ম্যাচ)
৩. ২৫ জুন, ১৯৭৮: আর্জেন্টিনা ৩-১ নেদারল্যান্ডস (বিশ্বকাপ ফাইনাল, অতিরিক্ত সময়ের পর)
৪. ২২ মে, ১৯৭৯: আর্জেন্টিনা ০-০ নেদারল্যান্ডস (ফ্রেন্ডলি)
৫. ৮ জুলাই, ১৯৯৮: আর্জেন্টিনা ১-২ নেদারল্যান্ডস (বিশ্বকাপ, কোয়ার্টার ফাইনাল)
৬. ৩১ মার্চ, ১৯৯৯: নেদারল্যান্ডস ১-১ আর্জেন্টিনা (ফ্রেন্ডলি)
৭. ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৩: নেদারল্যান্ডস ১-০ আর্জেন্টিনা 1-0, (ফ্রেন্ডলি)
৮. ২১ জুন, ২০০৬: আর্জেন্টিনা ০-০ নেদারল্যান্ডস (বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব )
৯. ৯ জুলাই, ২০১৪: আর্জেন্টিনা (০)৪- ২(০) নেদারল্যান্ডস (বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, পেনাল্টি শুটআউট)