হারের যন্ত্রণায় অশ্রুসিক্ত নেইমার, কার সান্ত্বনায় তাঁর মুখে ফুটল হাসি?
ফুটবলের সাথে মিশে আছে একটা আলাদা আবেগ, স্বর্গীয় উন্মাদনা, অফুরন্ত ভালোবাসা। কখনও পরাজয়ের গ্লানি ফুটবল প্রেমী থেকে শুরু করে তারকাদেরকেও কাঁদায়, আবার কখনও জয়ের আনন্দে উৎসবের মহড়া শুরু হয়ে যায়। আবার আনন্দ, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হতে দেখা যায় গোটা ফুটবল জগতকে।
শুক্রবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় ব্রাজিল। ফলে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। হাসিমুখে কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফুটবল তারকা। কিন্তু কিছু মুহুর্তের ভুলে টাইব্রেকারেই শেষ হয়ে গেল সব স্বপ্ন।
ক্রোটদের কাছে ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে পরাজয়ের পরেই তীব্র হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন ৩১ বছরের নেইমার। মাঠের রিজার্ভ বেঞ্চে একা একা বসে ছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল তাঁকে। কিছুতেই কান্না থামছে না। যা দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন দানি আলভেসের মতো সতীর্থরা। তাতেও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছিল না। হারের গ্লানি কুরে কুরে খাচ্ছিল তাঁকে।
এর মাঝেই হঠাৎ মাঠের ভিতর প্রবেশ করল একরত্তি লিও। নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপ পার হয়ে পৌঁছে গেল তার প্রিয় তারকার কাছে। একরত্তির কাছে নেইমার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ, খুব প্রিয়জন। হাত নেড়ে কাছে ডাকল নেইমারকে। নেইমারের বুক চাপড়ে দিল সান্ত্বনা। ফুটফুটে শিশুর এই ভালোবাসায়, সান্ত্বনায় নেইমারের মুখে ফুটল হাল্কা হাসির রেখা। এই একরত্তির আদরেই যেন কয়েক মুহূর্তে খুঁজে পেয়েছিল প্যারাজাইসের শান্তি।
কে এই লিও?
খুদে লিও আসলে ক্রোয়েশিয়ান প্লেয়ার ইভান পেরিসিচের পুত্র। নিজের দেশের জয়ের আনন্দের থেকে এই শিশুর মনকে বিচলিত করে তুলেছিল “প্রিয় হিরোর” চোখের জল। হাত মেলিয়ে হয়ত সে বলতে চাইল,”আর কেঁদো না চ্যাম্প, তুমি ফিরবেই, তোমাকে ফিরতেই হবে”।