আরোগ্য সেতুর বিকল্প অ্যাপ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের
হঠাৎ জ্বর এসেছে? সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কো-মর্বিডিটি রয়েছে? ভাবছেন করোনা টেস্ট করানো উচিত কি না?
আপনাকে দিশা দেখাতে তৈরি স্বাস্থ্য দপ্তরের নয়া অ্যাপ। আপাতত যেটির নাম—‘কোভিড-১৯ টেলিকলিং অ্যাপ’। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আজ, বুধবার থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট বা প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এই অ্যাপ। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে আপাতত রয়েছে অ্যাপটি। সাধারণ মানুষ যাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সঠিক ভাবে নিজের পরিস্থিতি বিচার করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ রয়েছে। করোনা আক্রান্তদের খোঁজ পেতে কয়েক মাস হল, ‘সন্ধানে’ অ্যাপও এনেছে রাজ্য সরকার। তাহলে নতুন কী রয়েছে এই অ্যাপে? স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘মানুষ এখন বুঝতে চাইছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না। তাঁর কতটা ঝুঁকি। তাই, আরোগ্য সেতু অ্যাপের চেয়ে এটা বিস্তারিত ভাবে করা হয়েছে। যাতে যে কেউ বুঝতে পারেন, তিনি কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে।’
ডাউনলোডের পর নাম, ফোন নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত করলেই, অ্যাপটি একাধিক প্রশ্ন করবে ব্যবহারকারীকে। ব্যবহারকারীর উত্তরের উপর ভিত্তি করে স্কোর তৈরি করবে অ্যাপ। সেই স্কোরের ভিত্তিতে অ্যাপ জানিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কী করণীয়। ন্যূনতম স্কোর এলে তাঁকে বাড়িতেই নজরদারিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে। সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা পর ফের নিজের অ্যাসেসমেন্ট করার পরামর্শও দেবে অ্যাপ। যেমন ধরা যাক, কোনও ব্যক্তির ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর রয়েছে। তাঁর বয়স ৬০-এর বেশি। সঙ্গে হাই প্রেশার রয়েছে। তা হলে তাঁর স্কোর দাঁড়াবে ৬। অ্যাপ-স্কোর অনুযায়ী এমন ব্যক্তিকে করোনা সাসপেক্ট বলে চিহ্নিত করে তাঁকে আরটি পিসিআর টেস্টের পরামর্শ দেবে অ্যাপ।
তবে চাইলেই কি কেউ আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে পারবেন? স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ‘কোনও ব্যক্তির স্কোর একটি নির্দিষ্ট মানের বেশি হলে সরাসরি তাঁকে আমাদের টেলি মেডিসিনের ফোন নম্বরের লিঙ্ক দেবে অ্যাপ। প্রয়োজনে তাঁর টেস্ট করানোর ব্যবস্থাও করা হবে।’
সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে অ্যাপের ‘ফিচার’ বা কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর ভাবনা রয়েছে। আগামী দিনে অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী জানতে পারবেন, বাড়ির কাছে কোথায় রয়েছে কোভিড হাসপাতাল। ব্যবহারকারীর স্কোর বেশি হলে স্বাস্থ্যভবনের কাছে সে তথ্য যাতে চলে আসে, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।