এখনই হলদোয়ানির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ নয়, জানাল শীর্ষ আদালত
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল রেলের ২৯ একর জমিকে জবরদখল মুক্ত করতে হবে। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে হলদোয়ানির বাসিন্দারা শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছেন, রাতারাতি বসতি ভেঙে পঞ্চাশ হাজার হলদোয়ানিবাসীকে গৃহহীন করা উচিত নয়। মালিকপক্ষের তরফে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। সমাধান সূত্র বের করতে হবে।
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন চলেছে। চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। রেলের ওই জমিতে প্রায় ৪ হাজার বসতবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৫টি স্কুল, একটি ব্যাঙ্ক, জল সরবরাহের ২টি ট্যাঙ্ক, ১০টি মসজিদ, ৪টি মন্দির এবং বহু দোকানপাট রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকার মানুষজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় বিজেপির তরফে তা আটকানোর কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না। উল্টে উচ্ছেদের জন্যেই প্রশাসন অতিসক্রিয়। সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদরা প্রতিবাদ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। দীর্ঘ শুনানির পর গত ২৯ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রেলের জমি জবরদখল মুক্ত করার রায় দেয়। এলাকাবাসীকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে এলকা দখল মুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছিল। এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়েছে। কিন্তু উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হলেও, পুনর্বাসন নিয়ে কোন ঘোষণা করা হয়নি, এতেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর হয়ে সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হয়। তাতেই এই রায় দেয় তিন সদস্যের বেঞ্চ।