ঔষধি গুণে ভরপুর তেলাকুচো ব্যবহার করতে জানেন?
তেলাকুচো বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। সাধারণত চৈত্র বৈশাখ মাসে তেলাকুচো রোপন করতে হয়। পুরনো মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হতে থাকে। অবহেলিত এই লতাজাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী।
আসুন জেনে নিই এর ঔষধি গুণঃ
ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচোর কাণ্ডসমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচোর পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।
জন্ডিসঃ জন্ডিস হলে তেলাকুচোর মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধকাপ পরিমাণ খেতে হবে।
পা ফোলা রোগেঃ গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায়। তেলাকুচোর মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
শ্বাসকষ্টঃ বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাঁপানি নয়) হলে তেলাকুচোর মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
কাশিঃ কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচোর মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
স্তনে দুধ স্বল্পতাঃ সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচো ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তেলাকচুর পাতা একটু তেঁতো হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল ১ সপ্তাহ খেতে হবে।
ফোঁড়া ও ব্রণঃ এ সমস্যায় তেলাকুচো পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার করতে হবে।
আমাশয়ঃ প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচোর মূল ও পাতার রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
অরুচিতেঃ সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচোর পাতা একটু সিদ্ধ করে জলটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে৷