খাবারের পীঠস্থান হিসেবে বিশ্বের সেরা ১১ শহরের মধ্যে জায়গা পেল কলকাতা
বিশ্বের সেরা খাবারের ঠিকানাগুলোর হদিশ খুঁজতে শুরু করেছিল ইটার ডট কম। তাদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বিশ্বের এগারোটি দেশের ১১টি শহর। সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে আনন্দনগরী, কলকাতা। ভারত থেকে একমাত্র কলকাতায় তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় থাকা অন্যান্য শহরগুলি হল, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি, উত্তর কোরিয়ার অ্যাশেভিলি, ইতালির সার্ডিনিয়া, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড (তমাকি ম্যাকাউরা), সেনেগালের ডাকার, গুয়াতেমালার গুয়াতেমালা সিটি, ফিলিপিন্সের ম্যানিলা, ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ, নিউ মেক্সিকোর অ্যালবাকুরকি এবং সুইডেনের হল্যান্ড। তাদের বক্তব্য, আপনি যদি ভোজনরসিক এবং ভ্রমণপ্রেমী, দুই’ই হন তাহলে ২০২৩ সালে এই শহরগুলিতে আপনাকে খেতেই হবে।
কলকাতা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এক মেট্রো শহর। বহু ধর্মের মিলনক্ষেত্র এই তিলোত্তমা, ফলত বহু ধরণে খাদ্যাভাস এ শহরের পরতে পরতে মিশেছে। নানাবিধ জাতি-ধর্মের মানুষ এখানে এসেছে, সমৃদ্ধ করেছে মহানগরের খানার খাজনা ভান্ডার। ব্রিটিশ ভারতে, তার আগে মোঘল-পাঠান যুগ, সতেরো আঠারো শতকে আসা ইহুদি, গ্রিক, পর্তুগিজ, আর্মনিয়ান, পার্সি, চীনি সকলেই কিছু না কিছু খাবার দিয়ে গিয়েছে আমাদের প্রাণের শহরকে। এটার ডট কম অন্যান্য শহরগুলোর মতোই কলকাতার সেরা ৩১টি খাবারের দোকানের বিস্তারিত আলোচনা করেছে। দোকানগুলো এই বৃহত্তর কলকাতার নানান প্রান্তে রয়েছে। তালিকায় উঠে এসেছে, মিত্র ক্যাফের কথা। কবিরাজি, কলকাতা ভেটকির ডায়মন্ড কাট ফিশফ্রাই এবং ব্রেন চপের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জায়গা করে নিয়েছে, গিরিশ চন্দ্র দে এবং নকুর চন্দ্র নন্দী, বড় বাজারের বদ্রির কচুরি, পুঁটিরাম, রয়াল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট, স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল, সুফীয়া রেস্টুরেন্ট, অ্যাডাম’স কাবাব, শরবতের জন্যে প্যারামাউন্ট, চীনে খানার জন্যে টুং নাম, হোটেল সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম, নাহুম অ্যান্ড সন্স, কস্তুরী, কুসুম রোলস, মোক্যাম্বো, রাসেল স্ট্রিটের ফুচকাওয়ালা, ফ্লুরিস, বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক, তিব্বতী খানার জন্যে দ্যি ব্লু পপি থাকালী, ইতালীয় খাবারের জন্যে সোরানো, আইটিসি রয়ালের রয়াল ভেজ খাবার, গোল্ডেন জয় রেস্টুরেন্ট, চীনে জলখাবারের জন্য টেরিটি বাজারের আহ ইয়াং, দ্যি সল্ট হাউজ, জম জম রেস্টুরেন্ট, ৬ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেস, আপনজন, সিয়েনা স্টোর অ্যান্ড ক্যাফে, পাঞ্জাবি রসুই, রামকৃষ্ণ লাঞ্চ হোম, মঞ্জিলাত’স।
কলকাতার খাবারকে ব্যাখ্যা করতে তারা স্ট্রিট ফুডের ছবি ব্যবহার করেছেন। ঝালমুড়ি, চা এবং কাবাবের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
আলাদা করে মিষ্টির কথা বলা হয়েছে। আদপে বাঙালির পরিচয় তো মিষ্টিতেই, রসগোল্লা, দরবেশ, সন্দেশ, মিষ্টি দই, অমৃতির কথা উল্লেখ করেছেন ইটার কর্তৃপক্ষ। মোদ্দাকথায়, বাংলা ও বাঙালির পরিচয় হল ভোজনবিলাসে। কাজেই খাবারের পীঠস্থান হিসেবে কলকাতার এই সুখ্যাতি এবং স্বীকৃতি বাঙালি তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবে। গোটা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে, এ জিনিস অত্যন্ত গর্বের।