জুনের পর ভারতে বাড়বে বেকারত্ব, স্বীকার করে নিলেন মোদী মন্ত্রিসভারই সদস্য
মোদী সরকার দাবি করেছে, ভারতের অর্থনীতি পোক্ত, দেশবাসীর রোজগার বাড়ছে এবং মাথা তুলছে কর্মসংস্থানের হার। কিন্তু সেই দাবিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন মোদী মন্ত্রিসভারই এক সদস্য। কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী নারায়ণ রাণের মতে জুনের পরেই ভারতে শুরু হবে বেকারত্বের সমস্যা!
গত দুই বছরের তুলনায় চলতি বছরে আর্থিক মন্দার হার অনেক বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জেরে কর্মহীন হবেন বহু মানুষ।
কোভিড মহামারী, পৃথিবী জুড়ে আর্থিক মন্দা, সবমিলিয়ে বিশ্ব তথা ভারতে দেদাার শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। ২০২২ সালের প্রথম থেকেই তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি সহ বিভিন্ন সেক্টরে কয়েক দফা ছাঁটাই পর্ব চলেছে। আর নতুন বছরেও যে ছাঁটাইয়ের ট্রেন্ড জারি থাকবে সেবিষয়েও ইতিমধ্যে আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে একদিকে যখন বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগের কারণ রয়ে গিয়েছে, আবার বাড়ছে সুদের হারও। ডিসেম্বরে ভারতের বেকারত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়। ২০২০ সালে দেশব্যাপী লকডাউনের পরে বিগত মাসগুলির চেয়ে ২০২২-এর ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-র তথ্য অনুসারে ডিসেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহে বেকারত্বের হার বেশিরভাগ দিনই ৮% এর বেশি ছিল।
এরই মধ্যে ভারতে এই মন্দার প্রভাব নিয়ে সতর্কবাণী শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পুণেতে জি-২০ সম্মেলনের একটি বৈঠকে বক্তৃতার সময়ে রাণে বলেন, জুনের পরেই ভারতে শুরু হবে বেকারত্বের সমস্যা। তাঁর মতে, “বিশ্বজুড়েই বহু মানুষ চাকরি হারাবেন। প্রায় সবকটি দেশেই এর প্রভাব পড়বে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝেছি, ভারতে এই সমস্যা শুরু হবে জুন মাস থেকে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ধাক্কা খাবে আর্থিক বৃদ্ধি, আগে থেকেই সেই ঘোষণা করেছিল আইএমএফ। গত বছর অক্টোবরেই সংস্থার তরফে বৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, “২০২১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। পরের বছরে সেটা কমে ৩.২ শতাংশ হয়েছে। সেই ধারা মেনেই ২০২৩ সালে বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ২.৭ শতাংশে। ২০০১ সালের পর এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক বৃদ্ধির হার এতখানি ব্যাহত হবে। তবে আর্থিক মন্দা ও কোভিড অতিমারীর সময়ে আর্থিক বৃদ্ধির হার এইভাবেই কমে গিয়েছিল।”